গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে

গাজীপুরে টঙ্গি রেলগেট এলাকায় টামপাকো প্যাকেজিং কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। আহত হয়েছে অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি। গুরুতর দগ্ধ বেশ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি। আগুনে নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বয়লার বিস্ফোরণের পর এভাবেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে টঙ্গির টামপাকো প্যাকেজিং কারখানা ভবনে।

খবর পেয়ে, ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তর, টঙ্গি ও জয়দেবপুরের বেশ কয়েকটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

শ্রমিকরা জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের সময় ওই কারখানায় রাতের শিফটের কাজ চলছিলো। আগুনে কারখানার চারতলা ভবনটি ধসে পড়ে। ভবনটিতে আরও শ্রমিক আটকা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অগ্নিকাণ্ডের পর আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গুরুতর দগ্ধ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

এ’ ঘটনায় গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রাহেনুল ইসলামকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহত প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবারকে এক লাখ টাকা করে দেয়ার কথা জানিয়েছে শ্রম মন্ত্রণালয়।

কারখানাটির মালিক সিলেট-৬ আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মকবুল হোসেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

হতাহত শ্রমিকদের স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে ওই এলাকার বাতাস।