গুজব: কার্টুনিস্ট, সাংবাদিকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৪

গুজব ছড়ানোর অভিযোগে কার্টুনিস্ট, ব্লগার ও সাংবাদিকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে র‌্যাব। ইতিমধ্যে মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তারা হলেন কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, ‘রাষ্ট্রচিন্তা’ নামে একটি সংগঠনের সদস্য দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া, মিনহাজ মান্নান ইমন ও ব্যবসায়ী মোস্তাক আহম্মেদ।

তাদের মধ্যে কিশোর ও মোস্তাককে গতকাল বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর দিদারুল ও ইমন রমনা থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশ ও র‌্যাবের একাধিক কর্মকর্তা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন প্রবাসী সাংবাদিক তাসনিম খলিল ও সাহেদ আলম, সায়ের জুলকারনাইন, আশিক ইমরান, ফিলিপ শুমাখার, স্বপন ওয়াহিদ ও ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীন।

পুলিশের রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার এস এম শামীম বলেন, র‌্যাবের করা মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামির মধ্যে আহমেদ কবির কিশোর ও মোস্তাক আহম্মেদকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুই আসামি দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া ও মিনহাজ মান্নান ইমন থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, র‌্যাব-৩-এর ওয়ারেন্ট অফিসার আবু বকর সিদ্দিক গত মঙ্গলবার রাতে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ‘র‌্যাব-৩ পর্যালোচনা করে দেখেছে, আই এম বাংলাদেশি (ইংরেজি হরফে লেখা) পেজের অ্যাডমিন সায়ের জুলকারনাইন, আমি কিশোর, আশিক ইমরান, ফিলিপ শুমাখার, স্বপন ওয়াহিদ ও মোস্তাক আহম্মেদসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জন দীর্ঘদিন ধরে ওই ফেইসবুক পেইজটি পরিচালনা করে আসছেন। এই ফেইসবুক পেইজ থেকে জাতির জনক, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মহামারী সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র/সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিপ্রায়ে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অপপ্রচার বা মিথ্যা জেনেও তারা গুজবসহ বিভিন্ন তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়াচ্ছিলেন। এতে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছিল।’

ওই মামলার আসামিদের মধ্যে ‘রাষ্ট্রচিন্তার’ দিদারুল ভূঁইয়াকে মঙ্গলবার ইফতারির আগ মুহূর্তে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার বাসা থেকে র‌্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন তার স্বজনরা। এছাড়া একই দিন লালমাটিয়া থেকে বাংলাদেশে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে কুমির উৎপাদনকারী মোস্তাক আহম্মেদকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন তার স্ত্রী লিপা আক্তার।

র‌্যাব-৩-এর অপারেশনস অফিসার এএসপি জাফর জানান, গুজব ছড়ানোর অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে আহমেদ কবির কিশোরকে রমনা এলাকা থেকে ও মোস্তাক আহম্মেদকে লালমাটিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া এই মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।