গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে কোরবানীর জন্য সাড়ে ছয় হাজার গরু প্রস্তুত

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে জেলার কাশিয়ানী উপজেলার খামারিরা সাড়ে ৬ হাজার গরু প্রস্তুত করেছেন।

খামারিরা জানান, ঘাস, খড়, ভূষি ও কুঁড়া খাইয়ে তারা এসব গরু প্রাকৃতিকভাবে মোটাতাজা করেছেন। এ গরুতে কোন স্টেরয়েড বা মোটাতাজা করনের কোন ওষুধ পুশ করা হয়নি। তাই গরুর ভালো দাম পেয়ে লাভবান হবেন বলে তারা আশা করছেন।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কাশিয়ানী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ৫৮৪টি খামারে ৬ হাজার ৫৩৩টি গরু কোরবানীর জন্য মোটাতাজা করা হয়েছে। গত তিনবছর ধরে এ উপজেলার খামারিরা কোরবানীর চাহিদার চেয়ে উদ্বৃত্ত গরু প্রস্তুত করে আসছেন।

খামারিরা জানান, গরু মোটাতাজাকরনের কাজে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।এ কারণে গরু মোটাজাতা করে তারা লাভবান হচ্ছেন।

তারা আরও জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের মাঠ কর্মকর্তা-কর্মচারিরা খামারের গরু পর্যবেক্ষণ করে বাজারজাতকরণের আধুনিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তাদেরকে পরামর্শ দিচ্ছেন।

উপজেলার পরানপুর গ্রামের হাসান মুন্সী বলেন, ‘আমরা প্রাকৃতিকভাবে গরু মোটাতাজাকরণ করি। কোন ধরণের স্টেরয়েড বা অপদ্রব্য পুশ করি না। প্রাকৃতিকভাবে গরু মোটাতাজা করি।’

কাশিয়ানী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এফএমএ মালেক বলেন, ‘এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার এখন গরু মোটাতাজাকরণের খামার গড়ে উঠেছে। এসব পশুতে কোন অপদ্রব্য পুশ করা হয় না এবং কঠোরভাবে এসব খামারে তদারকি করা হয়ে থাকে।’
তিনি বলেন, কোরবানীর ঈদের সময় এসব গরু বিক্রি করে খামারিরা ভালো আয় করেন। এতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটছে। তাই প্রতিবছরই লাভজনক গরু মোটাতাজাকরণের দিকে মানুষ ঝুঁকছেন।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান