ঘূর্ণিঝড় ফণি মোকাবেলায় ১৯ উপকূলীয় জেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র আশঙ্কায় দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় দেশের উপকূলীয় ১৯টি জেলায় ইতোমধ্যেই নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ইতোমধ্যেই দুর্যোগ মোকাবিলায় ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক ‘ফণি’র পূর্বাভাস দিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বাসস’কে বলেন, ‘খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আগামীকাল শুক্রবার (৩ মে) সকাল নাগাদ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব শুরু হতে পারে। শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় দেশের উপকূলীয় ১৯টি জেলায় ইতোমধ্যেই নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সকলকে ফণির সম্ভাব্য ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবেলায় সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যেই দুর্যোগ মোকাবিলায় ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নেয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, যেখানে পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার নেই, সেখানে স্কুল কলেজ, মাদ্রাসাকে যেন প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়, সেভাবে ব্যবহার উপযোগী করে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় জরুরি প্রয়োজন মেটাতে চাল ও নগদ টাকার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এদিকে দুর্যোগ পরিস্থিতি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে আবার সভা হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ‘ফণি’ আরও ঘনীভূত ও উত্তর বা উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শুক্রবার বিকাল নাগাদ ভারতের উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। পরবর্তীতে উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের (কিঃ মিঃ) মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১৬০ কিঃ মিঃ, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিঃ মিঃ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। এই পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবকরা উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকা লোকজনকে তাঁদের প্রাণিসম্পদসহ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন (এএফডি), ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৬.০ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৪.৫ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ আজ সকাল ৯ টায় (২ মে, ২০১৯) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬৫ কিলোমিটার (কিঃ মিঃ) দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ২৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ (ছয় ) নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা,
পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাাবিত হতে পারে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা সমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘন্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিঃ মিঃ বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
বাসস ভোলা সংবাদদাতা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ মোকাবিলায় ভোলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানান, জেলায় খোলা হয়েছে ৭ টি কন্ট্রোল রুম, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ৮৩ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬৫৭টি সাইক্লোন শেল্টার।
তিনি জানান, জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসুচি’র পক্ষ থেকে ১০ হাজার ২শ’ সেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একইসাথে রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ৫ শতাধিক ভলান্টিয়ার প্রস্তুত রয়েছে দুর্যোগে কাজ করার জন্য।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, শুকনো খাবার সরবরাহের জন্য সেচ্ছাসেবকদের তৈরি রাখা হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’মোকাবেলায় এরইমধ্যে জেলার সঙ্গে দূরবর্তী চরগুলোর সংযোগকারী নৌপথে সব ধরনের অনিরাপদ লঞ্চ ও ট্রলার চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। দুর্গম এলাকার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রসহ নিরাপদে স্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
জেলা ঘূণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির উপ-পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন মিয়া বাসস’কে বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সিপিপি’র ১০ হাজার ২শ’ সেচ্ছাসেবক মাঠে কাজ করছে। চরাঞ্চলে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনতে মাইকিং চলছে। একই সাথে বিপদের চিহ্ন হিসাবে লাল পতাকা উত্তোলণ করা হয়েছে। দুর্যোগ প্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের সাইক্লোন শেল্টারে নিয়ে আসতে সেচ্ছাসেবকরা কাজ করছে বলে জানান তিনি।
বাসস ফেনী সংবাদদাতা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ মোকাবিলায় ফেনীতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
ফেনী জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজ্জমান জানান যে, ঘূর্ণিঝড় ফণির কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন ও উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীতেও ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সোনাগাজী উপজেলায় ৪৩টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে জনসাধারণকে রাখার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
তিনি জানান, উপজেলাতে গঠন করা হয়েছে ১৪টি মেডিকেল টিম। এলাকাতে ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে জনসাধারণকে অবহিত করার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা করার জন্য লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রস্তুত রয়েছে দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
ফেনী জেলা প্রশাসক আরও জানান, এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জেলার জন্য ২শ’ মেঃ টন খয়রাতি চাল, নগদ ৫ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ করেছে। এর মধ্যে উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীর জন্য ৫০ মেঃ টন চাল, নগদ ১ লাখ টাকা ও ৫শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ, রাস্তাঘাট মেরামত, অকেজো নলকূপ সচল করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দুর্যোগকালীন সময় নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণকারীদের বাড়িঘরের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীসহ বিভিন্ন উপজেলা এবং জেলা প্রশাসনের কার্যালয় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
বরগুনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ জানান, জেলার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সকল সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রয়েছে। জনসাধারণকে সতর্ক করার জন্য জেলার ৬টি উপজেলার সকল শহর ইউনিয়নে মাইকিং করা হচ্ছে। সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি সভা করেছে।
বরগুনার পাথরঘাটা ও তালতলী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে উত্তাল ঢেউয়ের সৃষ্টি হচ্ছে। ইতোমধ্যে গভীর সমুদ্র থেকে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাগুলো তীরে ফিরতে শুরু করেছে। আর যেসব ট্রলার ও নৌকা সাগরে যেতে চাচ্ছিলো তাদের যাত্রাও বাতিল করেছে।
বরগুনা নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় ফণিকে কেন্দ্র করে উপকূলীয় এলাকার অভ্যন্তরীণ নৌযানগুলো চলাচলে সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করা হচ্ছে। আবহাওয়া পরিবর্তন হলে যেকোনো সময়, ঢাকার ডাবল-ডেকার লঞ্চসহ সকল নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
তিনি জানান, লক্ষ্মীপুরের মেঘনার উপকূল এলাকায় মাছ ধরার নৌকাসহ সকল প্রকার ইঞ্জিন চালিত ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। জেলার সকল আশ্রয়ন কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় থেকে জনসাধারকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদ স্থানে নেওয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, এ ছাড়া দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য সিভিল সার্জনের নেতৃতে¦ ৬৬টি মেডিকলে টিম গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন থেকে ৩৭৫ মেট্্িরক চাল, দুই হাজার পাঁচশত বস্তা শুকনা খাবার ও নগদ ৫ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।