ঘড়ির কাটা পেছানোয় ক্ষুব্ধ ইউরোপবাসী

ইউরোপে গত রোববার রাত তিনটায় সব ঘড়ির কাঁটা দু’টো হয়ে গেছে৷ দিনের আলো বাঁচাতে ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগ।

তবে এই ঘড়ির কাঁটা নিয়ে টানা হ্যাঁচড়া করতে করতে বিরক্ত হয়ে সম্প্রতি এক জরিপে এটি চিরস্থায়ীভাবে বন্ধের দাবি জানায় অধিকাংশ ইউরোপবাসী৷

প্রতি বছর বসন্তে ইউরোপে ঘড়ির কাঁটা বদলে যায়৷ মূলত এক ঘন্টা এগিয়ে নেওয়া হয় ঘড়ির কাঁটা৷ আবার শীতে আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনা হয়৷ এর ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানির সময়ের ব্যবধান শীতে পাঁচ ঘন্টা থাকলেও গ্রীষ্মে তা কমে ৪ ঘন্টা হয়৷

এভাবে টানাহ্যাঁচড়া করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ তাই এ বছর তারা নাগরিকদের প্রশ্ন করেছে যে, এই পরিবর্তন বন্ধ করে দেওয়া যায় কিনা৷ অর্থাৎ, সারাবছরই হয় গ্রীষ্মের পরিবর্তিত সময় বা শীতের মান সময়ই থাকবে৷

গত ৪ জুলাই এ বিষয়ে অনলাইন জরিপে শুরু হয়৷ শেষ হয় ১৬ আগস্ট৷ ২০ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন জরিপে৷ জরিপের ফলাফল ও বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে৷

গত ৩৮ বছর ধরে জার্মানিতে বছরে দুইবার, মার্চ ও অক্টোবরে এই ঘড়ির সময় পরিবর্তন করা হচ্ছে৷ অর্থাৎ, এ পর্যন্ত মোট ৭৬ বার সময় বদলানো হয়েছে৷

ঘড়ির সময় পরিবর্তন করার মূল উদ্দেশ্য হলো জ্বালানি সাশ্রয়৷ কিন্তু ইউরোপীয় কমিশনের হিসেবে সাশ্রয়ের পরিমাণ খুবই সামান্য৷

বছরে দুইবার সময় বদল আর ঠিক করার এই রেওয়াজ আগামীতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ বাদ দেওয়ার পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন জার্মান সংসদ সদস্য মিশায়েল থয়রার৷ এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই রেওয়াজ আজ নয় তো কাল বাদ হবেই৷’

তথ্যসূত্র: ডয়েচে ভেলে

আজকের বাজার/এএল