চট্টগ্রামে খাল উদ্ধারে অভিযান শুরু

চট্টগ্রাম নগরীর ১৩টি খালের উপর গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘মেগা প্রকল্প’ বাস্তবায়নকারী সংস্থা।
সেনাবাহিনীর সহায়তায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ অভিযান পরিচালনা করে। নগরীর কল্পলোক আবাসিকের পাশে রাজাখালী খালে উচ্ছেদের মধ্য দিয়ে অভিযান শুরু হয়।
সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আহমেদ মাঈনুদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম নগরীকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে দখল হয়ে যাওয়া ১৩টি খালের উপর নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদে আগামী দুই মাস অভিযান পরিচালিত হবে। প্রথমদিন কল্পলোক আবাসিকের পাশে রাজাখালী খালে উচ্ছেদ অভিযান চলে।
তিনি জানান, রাজাখালী খালে বহুতল ভবনসহ একাধিক সেমিপাকা ঘর রয়েছে। উচ্ছেদ অভিযানে এসব স্থাপনা সরানো হচ্ছে।
সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী বলেন, খালগুলোর ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। সিডিএকে আমরা সহযোগিতা করছি।
২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএর সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর খালের উভয় পাশে রিটেইনিং ওয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কাজ শুরু করে। পাশাপাশি খাল থেকে ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রমও শুরু হয়।
ডিপিপি অনুযায়ী গৃহীত এ মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালে ৩৬ খালের মাটি অপসারণসহ ৩০০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ১০০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ২০২০ সালের মধ্যে নগরে ৩৬টি খাল খনন, খালের পাশে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরোধক দেয়াল, ৮৫ কিলোমিটার সড়ক, ৪২টি সিল্ট ট্র্যাপ নানা অবকাঠামো নির্মাণ করার কথা রয়েছে।