চট্টগ্রামে নতুন করে ৭১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। করোনাক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি। সংক্রমণের হার ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল রোববার চট্টগ্রামের আটটি এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে এ অঞ্চলের ৮৫৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন সংক্রমিত ৭১ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৬৫ জন এবং গ্রামের ৬ জন। ফলে জেলায় করোনাক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে এখন ১৯ হাজার ১১৬ জন।
রিপোর্ট বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত তিন দিনের তুলনায় সংক্রমণের হার সামান্য কমেছে। গত শনিবার সাম্প্রতিক সময়ের সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ সংক্রমণ হার রেকর্ড করা হয়। শুক্রবার ছিল ৯.৭৬ শতাংশ এবং বৃহস্পতিবার ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে জানা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে। এখানে ৩১৩টি নমুনার মধ্যে ২০টিতে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউটঅব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩০৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭ জন করোনাক্রান্ত বলে শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৭০ জনের নমুনায় ৬ জন জীবাণুবাহক হিসেবে চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৩৬ টি নমুনা পরীক্ষায় ৪ টির মধ্যে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়।
আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ২ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে ২জনই পজেটিভ হন। উল্লেখ্য, জেনারেল হাসপাতাল চট্টগ্রামের একমাত্র কোভিড হাসপাতাল এবং এখানকার ল্যাবে শুধুমাত্র ভর্তি থাকা রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
এদিন নগরীর বেসরকারি তিনটি ল্যাবে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৫০টি, শেভরনে ৩৮টি এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে যথাক্রমে ১১টি, ৯টি এবং ১২টি নমুনায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
এছাড়া, চট্টগ্রামের ৯ টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় একটিতেও করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি।
