চট্টগ্রামে ভূমিধসের আশঙ্কা

চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টিপাতে ভূমি ও পাহাড় ধসের আশঙ্কায় পাহাড়ি এলাকায় ‘মৃত্যুঝুঁকি’ নিয়ে বসবাসকারী লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

এসব লোকজনের জন্য নগরের বিভিন্ন এলাকায় চালু করা হয়েছে ৮টি আশ্রয়কেন্দ্র। প্রস্তুত রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রীও।

নগরীর সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত লোকজনকে সরে যাওয়ার জন্য শনিবার থেকে মাইকিং করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসন পাহাড়ে বসবাসকারীদের সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলেও প্রভাবশালী দখলদারদের কারণে সম্ভব হচ্ছে না। বর্ষণে গত ১১ বছরে পাহাড় ধসে মারা গেছেন ২৩০ জন। পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ৩৬ সুপারিশের একটিও বাস্তবায়ন হয়নি।

চট্টগ্রামে গত দুদিন ধরে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে। লাগাতার কয়েকদিন ভারী বর্ষণ হলেই প্রতি বছর ভূমি ও পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

বৃষ্টির কারণে রাস্তায় লোক ও যান চলাচল ছিল কম। জেলা প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী, নগরের ১১টি পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে প্রায় এক হাজার পরিবারের কয়েক হাজার লোক বাস করছেন।
তবে সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যানের তুলনায় বাস্তবে বসবাসরত পরিবারের সংখ্যা অনেক বেশি।

জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, সরিয়ে নেওয়া লোকজনকে যাতে অসুবিধায় পড়তে না হয়, পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।নগরীর ৬টি সার্কেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছয়জন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার সমন্বয়ে এসব আশ্রয়কেন্দ্রের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।সেখানে আশ্রয় নিতে আসা লোকজনের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির মজুদ রাখা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, প্রয়োজনে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা সেখানে অভিযান পরিচালনা করবেন। যেকোন মূল্যে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই আমরা।’

আজকের বাজার/লুৎফর