সাভারের আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে এক নারীকে হত্যা করেছে চালক ও তার সহযোগীরা। নিহত নারীর বৃদ্ধ বাবাকেও মারধর শেষে বাস থেকে ফেলে দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে চালক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের মরাগাং এলাকার রাস্তার পাশ থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নারীর নাম জরিনা বেগম (৪৫)।
নিহতের বাবা আকবর আলী বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমি মেয়েকে নিয়ে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে আসি। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে যাওয়ার জন্য আশুলিয়ার ইউনিক এলাকা থেকে টাঙ্গাইলগামী একটি বাসে উঠি। বাসটি টাঙ্গাইল না গিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে আবার আশুলিয়ায় চলে আসে। এর কারণ জানতে চাইলে বাসের হেলপার ও সুপারভাইজারসহ কয়েকজনের সঙ্গে আমাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে বাসের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজার আমাদের মারধর করে মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় আমি চিৎকার করলে আমাকে তারা চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়।
পরে বিষয়টি সড়কে টহলরত পুলিশকে জানালে মরাগাং এলাকায় গিয়ে রাস্তার পাশ থেকে মেয়ে জরিনা বেগমের মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।’
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিজন কুমার দাস বলেন, নিহত নারীর শরীরে কোন ক্ষত না থাকলেও গলায় কালো দাগ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তাকে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহত নারীর বাবা আকবর আলী বয়স্ক হওয়ায় তার কাছ থেকেও স্পষ্ট কোন ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় নিহতের বাবা অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে ও গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
আজকের বাজার/এমএইচ
