চসিক নির্বাচনে সবচেয়ে ধনী প্রার্থী জাপার সোলায়মান শেঠ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে নয় মেয়র প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে ধনী হলেন জাতীয় পার্টির সোলেয়মান আলম শেঠ। তার নগদ অর্থের পরিমাণ মাত্র ১ কোটি ৪১ লাখ ২৮ হাজার ৫০০ টাকা! অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর নগদ অর্থের পরিমাণ মাত্র এক লাখ টাকা। আর বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের নগদ অর্থের পরিমাণ ১৫ লাখ টাকা। মেয়র প্রার্থীর সম্পদের বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করুন) নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা সম্পদের তথ্য বিবরণী থেকে এ হিসেবে পাওয়া গেছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ৭ বছরে সোলায়মান শেঠের আয় বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ। স্থাবর- অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে। বেড়েছে ব্যবসায়ের পরিধিও। সময়ের ব্যবধানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে সম্মানি হিসেবে তার আয়ের খাতায় যুক্ত হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকারও বেশি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমাকৃত এবং সম্প্রতি ৬ষ্ঠ চসিক নির্বাচনে জমাকৃত হলফনামা পর্যালোচনায় এ চিত্র পাওয়া গেছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী সোলায়মানের অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৩ লাখ ৫৪ হাজার ৪২২ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র, স্টক একচেঞ্জে তালিকাভুক্ত এবং তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার ১০ লাখ ২০ হাজার, নিজ নামে স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে মাত্র ১৫ হাজার টাকার, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী রয়েছে ২৫ হাজার টাকার, আসবাবপত্র রয়েছে ২৫ হাজার টাকার। সোলায়মানের বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ও অন্যান্য ভাড়া বাবদ বছরে আয় করেন ২ লাখ ৫৯ হাজার ২০০ টাকা, ব্যবসা থেকে বছরে আয় হয় ১৪ লাখ ৮১ হাজার ১৩০ টাকা, চাকরি ও সম্মানি ভাতা বাবদ আয় করেন ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা।

সোলায়মানের স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে পৈত্রিকভাবে প্রাপ্ত জমি ও খাগড়াছড়িতে জমি। এসব জমির সুনির্দিষ্ট পরমিাণ উল্লেখ না থাকলেও মূল্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে: পৈত্রিকভাবে প্রাপ্ত জমির মূল্য ১৪ কোটি ৫০ লাখ ১২ হাজার ৭৯৮ টাকা এবং খাগড়াছড়ির জমির মূল্য ৫৪ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। এছাড়াও তার রয়েছে ১টি বাসসহ ১৩টি গাড়ি, যার মূল্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন ৩ কোটি ১৪ লাখ ৭২ হাজার টাকা। সোলায়মানের ব্যক্তিগত কোনো ঋণ না থাকলেও, ৯২ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৭ টাকার গাড়ি ঋণ রয়েছে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, গত বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের মোট নয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়াও চসিকের ৪১টি ওয়ার্ডে সাধারণ ও ১৪টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে মোট ২৭৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে-সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২২০ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৫৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সূত্র-ইউএনবি

আজকের বাজার/আখনূর রহমান