চাঁদপুরের মেঘনায় সাড়ে ৪ লাখ মিটার জালসহ ৯ জেলে আটক

ইলিশ রক্ষায় সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাইমচরের মেঘনায় মাছ নিধনকালে কোস্টগার্ডের অভিযানে ১ লাখ ৫০ হাজার মিটার জালসহ ৮ জেলেকে আটক করা হয়েছে। পৃথক আরেকটি অভিযানে চাঁদপুর সদর মডেল থানার পুলিশ শহরের বড় স্টেশন টিলাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ মিটার কারেন্ট জালসহ ১ জনকে আটক করেছে।

জেলার হাইমচরে মেঘনায় কোস্টগার্ডের সিনিয়র চীফ পেটি অফিসার দীন ইসলামের নেতৃত্বে মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের পরিচালনায় শুক্রবার বিকেল থেকে শুক্রবার রাত ২টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ১ লাখ মিটার জালসহ ৫ জেলেকে আটক করা হয়। আটক জেলেরা হলো : চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিণা এলাকার আঃ হামিদ ছৈয়ালের ছেলে মোঃ মাসুদ ছৈয়াল (২০) ও তার ভাই আহসান ছৈয়াল (১৮), মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন (২৬), আলী আহমেদ ভূঁইয়ার ছেলে মনির হোসেন (১৯), আবুল গাজীর ছেলে শহিদুল ইসলাম গাজী (২৬)। আটক জেলেদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেককে ১ বছর করে কারাদন্ড- প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌসী বেগম।

এর আগে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল পর্যন্ত হাইমচর কোস্টগার্ড চীফ পেটি অফিসার দীন ইসলামের নেতৃত্বে কোস্টগার্ড অভিযান পরিচালনা করে ৫০ হাজার মিটির জালসহ আরও তিন জেলেকে আটক করে এবং একটি নৌকা জব্দ করে। আটকরা হলো চাঁদপুর সদর উপজেলার আঃ রহমান গাজীর ছেলে মোহাম্মদ আলী গাজী (৪৫), একই এলাকার শরবত আলী বেপারীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৪০) ও বহরিয়া এলাকার আইয়ুব আলী বেপারীর ছেলে শুক্কুর বেপারী (১৯)। আটক ৩ জেলেকে ১ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌসী বেগম। জব্দ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয় এবং জব্দ মাছ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

এদিকে গতকাল শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত চাঁদপুর শহরের টিলাবাড়ি এলাকা ও ব্রীজ সংলগ্ন যমুনা রোড এলাকায় পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহেদ পারভেজ চৌধুরীর নির্দেশনায় চাঁদপুর মডেল থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন এবং কমিউনিটি পুলিশিং অফিসার আব্দুর রবের নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর আঃ রহিমসহ ৬জন এসআই এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

এ সময় পুলিশ টিলাবাড়ি ও যমুনা রোড এলাকায় প্রায় ৫০টি ঘরে তল্লাশি চালিয়ে খালে, নদীর পাড় এবং নৌকা থেকে ৩ লাখ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করে এবং ১টি ইঞ্জিনচালিত জেলে নৌকাসহ সিরাজুল ইসলাম বেপারীর পুত্র আনোয়ার হোসেনকে আটক করে। আটক আনোয়ার হোসেন পুলিশের নিকট মা ইলিশ ধরার বিষয়ে তথ্য দেন। পরে পুলিশ ৫০ জনকে আসামী করে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহেদ পারভেজ চৌধুরীর জানান, আমরাতো নদীতে নামতে পারবো না, সেখানে নৌ-পুলিশ রয়েছে। তবে জেলেপল্ল­ীতে যারা মা ইলিশ ধরছে এবং এ কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।