চাঁদপুরে জেলে-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ১৩, আটক ৭

মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানের সময় চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে নৌ পুলিশ ও জেলেদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ১৩ জন আহত হয়েছেন।

বিক্ষুব্ধ ও মারমুখী জেলেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পুলিশ।

ঘটনাস্থল থেকে এ সময় সাত জেলেকে আটক করা হয়। তারা হলেন- ওমর ফারুক, কবির হোসেন, রুবেল, খলিল, শাহজাহান, মাহফুজ ও নজির হোসেন।

রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নৌ পুলিশের একটি দল শরীয়তপুর থেকে অভিযান চালিয়ে চাঁদপুর হয়ে ঢাকার আসার পথে সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের ছিরারচর ও শিলারচরে ইলিশ শিকারি জেলেদের বাধা দিলে এ ঘটনা ঘটে।

আহত পুলিশ সদস্যদের চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলাল উদ্দিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নৌ অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রুবেল।

নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) ফরিদা পারভীন বলেন, ‘মা ইলিশ রক্ষায় শনিবার ঢাকা থেকে অভিযান শুরু করা হয়। ওই সময় আকাশপথে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ছিল। রাতে শরীয়তপুর এলাকায় অভিযান শেষে রবিবার সকালে ঢাকায় ফেরার পথে চাঁদপুরে আসলে তিন থেকে চার হাজার জেলেকে নৌকায় করে অবৈধভাবে মা ইলিশ শিকার করতে দেখা যায়। এ সময় নৌ পুলিশ সদস্যরা স্পিডবোট দিয়ে জেলেদের কয়েকটি নৌকা ও জাল আটক করেন। এখবর ছড়িয়ে পড়লে অন্য জেলেরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষায় ৪৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে জেলেদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে আহত পুলিশ সদস্যদের দ্রুত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতলে নিয়ে আসা হয়।’

ফরিদা পারভীন আরও বলেন, ‘আমাদের বড় জাহাজে নৌ পুলিশের কয়েকজন পুলিশ সুপার ছিলেন। তারা ঘটনাস্থলেই অবস্থান করছিলেন। আমি নিজেও জেলেদের হামলায় আহত হয়েছি।’

অভিযানে বেশ কয়েকটি নৌকা, জাল ও ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।