চারুকারু-শারীরিক শিক্ষা বাদ দিয়েই হচ্ছে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা

মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (এইচএসসি) থেকে দুই বিষয় বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২০২০ সাল থেকেই এ নিয়মে পাবলিক পরীক্ষা দুটো অনুষ্ঠিত হবে। বিষয় দুটি হলো- চারুকারু ও শারীরিক শিক্ষা।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক মু. জিয়াউল হক একটি অনলাইনকে জানিয়েছেন, এবার থেকেই নতুন নিয়মে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে। এবারের পরীক্ষায় দুটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে না শিক্ষার্থীদের। এ দুটি বিষয়ের ক্লাস মূল্যায়নের ফলাফল মূল পরীক্ষার ফলাফলের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।

তিনি জানান, এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ে চারুকারু ও শারীরিক শিক্ষা নামে দুটি বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হবে না। আগামী ফেব্রুয়ারিতে আয়োজিত এসএসসি পরীক্ষা থেকে এ দুটি বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হবে না।

এসএসসিতে পুরনো পদ্ধতিতে চারুকারু বিষয়কে মৌলিক বিবেচনা করে পরীক্ষা আয়োজন করা হতো। আর শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে ফলাফল তৈরি করতেন শিক্ষকরা। অপরদিকে এইচএসসিতে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে চারুকারুকে নির্বাচন করতে পারত শিক্ষার্থীরা। তবে এ বছর থেকে এ নিয়মটি বাতিল করা হবে। পরীক্ষার চাপ কমাতে এ দুটি বিষয়ে আর পরীক্ষা নেয়া হবে না। তার বদলে ক্লাসে হবে ধারাবাহিক মূল্যায়ন।

বোর্ড চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক বলেন, এ বছর থেকে ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কমানো হবে, তার বদলে বাড়বে ক্লাস মূল্যায়ন। শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ কমাতে এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে শিক্ষার্থী বান্ধব করে গড়ে তুলতে এমনটা করা হবে।

তিনি জানান, পরীক্ষা তুলে দেয়া বিষয়গুলোতে ক্লাস শিক্ষকদের মাধ্যমে মূল্যায়ন হওয়া ফলাফল শিক্ষা বোর্ডে পাঠানো হবে। পরে মুল নম্বরপত্রে সেসব নম্বর যুক্ত করা হবে। তবে এ নম্বর ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ কোনো ভূমিকা রাখবে না।

এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, শ্রেণিকক্ষে পাঠদান আনন্দময় করতে পারলে লেখাপড়ার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়বে। এতে করে তাদের চিন্তাশক্তি ও ব্যাখ্যা করার ক্ষমতাও বাড়বে। মুখস্ত বিদ্যা প্রবণতা থেকে বের করে শিক্ষার্থীদের চিন্তা করার প্রতি উৎসাহিত করলে শিক্ষার পরিবেশ সুন্দরভাবে পাল্টে যাবে। তখন আর পরীক্ষা ও ফলাফল নিয়ে এমন অদ্ভুতুড়ে প্রতিযোগিতা থাকবে না।

এদিকে শ্রেণিকক্ষে মূল্যায়ন বাড়াতে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় এরপরের বছরগুলোতে সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকেও প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হবে।

আজকের বাজার/এমএইচ