চিকিৎসা শেষে করোনায় আক্রান্ত রোগীর ৫ বছর ফলোআপ প্রয়োজন : বিএসএমএমইউ

করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা শেষে প্রায় ৫ বছর ফলোআপ করার প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ।
আজ দেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য ‘পোস্ট কোভিড ফলোআপ’ ক্লিনিক উদ্বোধন কালে এই তথ্য জানা গেছে।
এই ফল্আোপ ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া।
প্রতি শনি ও মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ইন্টার্নাল মেডিসিন বর্হি বিভাগে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের ফলোআপ সেবা প্রদান করা হবে।
এই ক্লিনিকটি প্রাইমারী কেয়ার সেন্টার হিসেবে কাজ করবে। এখান থেকে যেসব রোগীর পালমোনলজি,কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি, নিউরোলজি, সাইকিয়াট্রি, ফিজিক্যাল মেডিসিনসহ অন্যান্য বিভাগের পরামর্শের প্রয়োজন হবে,তাদের সংশ্লিষ্ট বর্হিবিভাগে রেফার করা হবে।
উদ্বোধনকালে উপাচার্য বলেন,কোভিড-১৯ মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গকে আক্রমণ করে এবং দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। একারণে মাঝারি ও তীব্র করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের দীর্ঘমেয়াদী ফলোআপের প্রয়োজন হয়।
তিনি বলেন,এই ফলোআপের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের দীর্ঘ মেয়াদী লক্ষণ ও প্রতিক্রিয়াগুলো চিহ্নিত করতে পারলে বিপুল সংখ্যক রোগীকে দীর্ঘ মেয়াদী রোগের স্থায়ীত্ব এবং মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
যুক্তরাজ্য, চীন, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যেই পোস্ট কোভিড-১৯ ফলোআপ সেবা চালু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উপাচার্য বলেন,আগস্ট মাস শোকের মাস। এই শোককে কর্মস্পৃহা, একাগ্রতা,সেবার মানসিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে শক্তিতে পরিণত করতে হবে।
তিনি বলেন,তাই এই মহামারী মোকাবেলায় গত ৮ই মার্চ থেকে ফিভার ক্লিনিক,টেলিমেডিসিন সেবা,আউটডোর সেবা,পিসিআর ল্যাব সার্ভিস,পৃথক করোনা সেন্টার চালু ও নানা গবেষণার মাধ্যমে বিএসএমএমইউ এই দুর্যোগকালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বাংলাদেশে অগ্রজ ভূমিকা পালন করছে।
উদ্বোধনকালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।