চীনে স্থানীয়ভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শূন্য

চীনের মূল ভূখণ্ডে রবিবার স্থানীয়ভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনা ঘটনা ঘটেনি বলে সোমবার দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন তাদের প্রতিদিনের প্রতিবেদনে জানায়, এ সময়ে বাইরে থেকে আসা ১১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে ১০ জন স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ইনার মঙ্গোলিয়ার আর একজন সিচুয়ান প্রদেশের।

কমিশন বলছে, নতুন করে কারও মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি বা এতে আক্রান্ত হয়ে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

রবিবার সাতজন রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন এবং মারাত্মক রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে সাতজনে।

এখন পর্যন্ত চীনের মূল ভূখণ্ডে ৮২ হাজার ৯৮৫ জনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে এবং ৪ হাজার ৬৩৪ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। কমিশন আরও জানিয়েছে, ৮৩ রোগী এখন চিকিৎসাধীন আছেন।

কমিশন বলছে, রবিবার মূল ভূখণ্ডে ৪০ জন নতুন করে লক্ষণহীন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩৯৬ জন লক্ষণহীন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে প্রথম কোভিড-১৯ আক্রান্তের পরে ভাইরাসটি দ্বারা বিশ্বব্যাপী ৫৪ লাখ মানুষ সংক্রামিত হয়েছেন। যার মধ্যে শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই আছেন ১৬ লাখ।

ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯ জন মারা গেছেন। এটা কেবল সরকারিভাবে নিশ্চিত হওয়া সংখ্যা হলেও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাস্তবে সংখ্যাটি আরও অনেক বেশি।

বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালনের দিনেও গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ২১ জন করোনাভাইরাসে মারা গেছেন বলে সোমবার জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া নতুন করে আরও ১ হাজার ৯৭৫ জনের শরীরে এ ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৫০১ জনে দাঁড়াল। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৫৮৫ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১১ হাজার ৫৪১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ৯ হাজার ৪৫১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৩৪টি।