চীন থেকে ফিরতে ৩৭০ বাংলাদেশি নিবন্ধন করেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মুখে দেশে ফিরে আসার জন্য চীনের ২২টি প্রতিষ্ঠানের, বিশেষ করে ‍উহান শহরের ৩৭০ বাংলাদেশি নিবন্ধন করেছেন বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

তবে ১৫ বাংলাদেশি চীনেই থেকে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, দেশে এসে অসুখ হলে অসুবিধা হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ড. মোমেন বলেন, চীন কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশকে জানিয়েছে যে কোনো বিদেশি নাগরিক এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে দেশটি সব চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে।

চীনে থাকা বাংলাদেশিরা যখন আসতে চাইবেন এবং চীন সরকার অনুমতি দেবে তখনই তাদের নিয়ে আসা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তবে চীনের অনুমতি কখন পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে না পারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীন সরকার তো (ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়া এলাকা) পৃথক করে রেখেছে সঙ্গত কারণেই। তাই আমরা তাদের ওপর কোনো মাতব্বরি করতে চাই না।’

চীনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। আর নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ৭ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। সেই সাথে প্রতিবেশী দেশ ভারতের কেরালায় প্রথমবারের মতো একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, চীনে ভাইরাসের মূল কেন্দ্র উহান শহর থেকে বাংলাদেশিদের বাসে করে বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হবে এবং সেখান থেকে তাদের আনতে বাণিজ্যিক ফ্লাইট পাঠানো হবে। ‘কিন্তু এ জন্য চীনকে তারিখ দিতে হবে। তারা তারিখ দিলে আমরা নিয়ে আসব।’

বাংলাদেশিদের দেশে আনার পরের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওরা আসলে আমরা ওদের আলাদাভাবে রাখব এবং পর্যবেক্ষণ করব। আমাদের হাসপাতালে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে…এটা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভালো বলতে পারবেন। আনার দায়িত্ব আমাদের আর তারপরের দায়িত্ব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের।’

চীনে ফ্লাইট বন্ধ করার কোনো সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া হয়নি জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, ‘সবাই আশঙ্কার মধ্যে আছে। তবে আমরা আতঙ্কগ্রস্ত হতে চাই না।’

বাংলাদেশি কেউ এখনও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৪০০-৫০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী উহানে আছেন। হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার মূল কেন্দ্র। চীন সরকার শহরটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে এবং আরও কয়েকটি শহরে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে।সূত্র:ইউএনবি

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান