ছাত্র জীবনে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় নিয়মিত আসতাম: প্রধানমন্ত্রী

অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল চারটায় বাংলা একাডেমি চত্বরে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘আমার দেখা নয়া চীন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।

মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্র জীবনে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় নিয়মিত আসতাম। বর্তমানে সরকার প্রধান হওয়াতে সেটি আর হয়ে উঠছে না। ছাত্র জীবনের সেই স্বাধীনতা এখন আর নেই।

‘তখন দিনের পর দিন, ঘন্টার পর ঘন্টা এখানে কাটতাম। এখন আগের সেই স্বাধীনতা আর নেই। এই একটা দুঃখ এখনও থেকে যাচ্ছে। তাই এখনও এই মেলায় আসতে ভালো লাগে’, যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী ১০ লেখককে বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং একাডেমির সামনের ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় তিন লাখ বর্গফুট জায়গায় এবারের মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাহান্নর চেতনা থেকে একাত্তর, যার ভেতরে জড়িয়ে আছে ৫৪, ৬২, ৬৬ ও ৬৯- বাঙালির স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা অর্জনের এই পথচলাকে এবার উদ্‌যাপন করা হবে মেলাজুড়ে। এর জন্য এবারের মেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বিজয়: বাহান্ন থেকে একাত্তর (নব পর্যায়)’।

মেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের নামকরণ করা হয়েছে ভাষা শহীদ বরকতের নামে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণকে চারটি চত্বরে ভাগ করে উৎসর্গ করা হয়েছে ভাষা শহীদ সালাম, রফিক, জব্বার ও শফিউরের নামে।

২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা, ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বইমেলা চলবে।

আজকের বাজার/এমএইচ