ছয়টি খাবারে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন

জার্মানির বার্লিনে বার্ষিক সভায় ইউরোপিয়ান অ্যাসোসিসেশন ফর দ্য স্টাডি অফ ডায়াবেটিসের একটি নতুন সমীক্ষা অনুযায়ী, টাইপ-টু ডায়াবেটিসের প্রাথমিক লক্ষণ ধরা পড়ার ২০ বছর আগেই চিহ্নিত করা যায়।

জাপানের আইজওয়া হাসপাতালের এক গবেষণা দেখিয়েছে, বর্ধিত ফাস্টিং গ্লুকোজ, অতিরিক্ত মেদ, এবং ইম্পেয়ার্ড ইনসুলিন সেনসেটিভিটিকে ডায়াবেটিস রোগ ধরা পড়ার অন্তত ১০ বছর আগে প্রি-ডায়াবেটিস পরিস্থিতি হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।

প্রধান গবেষক হিরোয়ুকি সাগেসাকা বলেন, ‘টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের বেশিরভাগই প্রি-ডায়াবেটিক লক্ষণে ভোগেন। তাদের ক্ষেত্রে প্রায় ২০ বছর আগেই বলে দেয়া যায় যে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা রয়েছে।’ পুরো গবেষণাকালে ১০৬৭ নতুন ডায়াবেটিক টাইপ-টু কেসকে চিহ্নিত করা হয়। ১৫ হাজার ৭৭৮ জনের প্রাথমিক রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট প্রথমে স্বাভাবিক এলেও ৪ হাজার ৭৮১ জনের পরে প্রি-ডায়াবেটিক লক্ষণ দেখা যায়। এদের ক্ষেত্রে রোগ ধরা পড়ার ১০ বছর আগে লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছিল।

গবেষণা অনুযায়ী, ২০১৭ সালে প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে ৪২৫ মিলিয়ন (২০-৭৯ বছর) ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। আশঙ্কা ২ হাজার ৪৫ পর্যন্ত তা গিয়ে ৬২৯-এ পৌঁছাবে।

তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে খান ৬টি খাবার:

বিটরুট

বিটরুটে কার্বোহাইড্রেট কম, ভিটামিন, খনিজ, তন্তু ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস বেশি। এর ন্যাচারাল সুগার শকর্রায় পরিণত হয় না। ফলে শরীর তা দ্রুত আত্মীকরণ করে।

টমেটো

এটি রক্তচাপ কমিয়ে ডায়াবেটিস সংক্রান্ত জটিলতাকে দূরে রাখে। টমেটোতে প্রচুর ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং পটাসিয়াম রয়েছে। এগুলি লো কার্ব এবং কম ক্যালোরির।

কুমড়ো বীজ

এগুলি আয়রনে পূর্ণ, ফ্যাটের ধরন বুঝে এবং খিদে কমায়। স্ন্যাকস হিসেবে অতি উপাদেয়।

ফ্ল্যক্সসিড

এতে প্রচুর লিগন্যান নামে প্রচুর তন্তু থাকে। ফলে হৃদরোগ সংক্রান্ত ঝুঁকি কমে। হাড়ের জোড়া মজবুত করে, রক্তে সুগারের মাত্রা কমায় এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা নিয়ন্ত্রণ করে।

মিক্স নাট

আমরা জানি বাদাম জাতীয় খাবার সুপারফুড আর ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে পূর্ণ। এতে প্রচুর অ্যাসেন্সিয়াল অয়েল থাকায় ডায়াবেটিক ইনফ্লামেশন, ব্লাড সুগার, এবং খারাপ কোলেস্টেরলকে নিয়্ন্ত্রণ করে।

গোটা শস্য দানা

লাল চাল, বুলগার, ওটসের মতো গোটা শস্য দানা সহজপাচ্য হওয়ায় রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রিত রাখে। ফলে ওজন বৃদ্ধিও কম হয়। যা ডায়াবেটিসের অন্যতম কারণ। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ