জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, চলবে : প্রধানমন্ত্রী

জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস কঠোর হাতে দমন করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, চলবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার (২৬ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ঢাকা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় শিশু-কিশোর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেছেন। খবর বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস)।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আজকের যে প্রজন্ম তারাই একদিন শিক্ষা-দীক্ষায় পরিপূর্ণ হয়ে উন্নত মানবসম্পদে পরিণত হবেন। এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। সোনার বাংলাদেশ গড়ার সোনার ছেলে-মেয়ে হিসেবে নিজেরা তৈরি হবে। সেটাই অমি আশা করি।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে, চলবে এবং কঠোর হাতে তা আমরা দমন করবো। আজকে তোমরা বিভিন্ন স্কুল ও প্রতিষ্ঠান থেকে সমবেত হয়েছো। সেই সাথে সাথে শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ আপনারাও এখানে আছেন। আমি সবাইকে এইটুকু বলবো- সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেন উন্নত জীবন পায়, সৎ চরিত্রবান হয় এবং লেখাপড়ার পাশাপাশি মানুষের মতো মানুষ হয় এবং আগামী দিনের বাংলাদেশকে গড়ার জন্য যেন এখান থেকেই নিজেদের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলে।’

শেখ হাসিনা আরো বলেছেন, ‘আমরা চাই যে আমাদের ছেলে-মেয়েরা মন দিয়ে লেখাপড়া শিখবে এবং অভিভাবক ও শিক্ষকের কথা শুনে তাদের মান্য করে চলবে এবং কখনও কোনো মাদক বা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে না।’

তিনি বলেছেন, ‘অর্থনৈতিক মুক্তির কর্মসূচিকে এবার আন্দোলনে রূপ দিতে হবে। তবেই আমরা গড়ে তুলতে পারব ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা। আমরা স্বাধীনতার সুফল বাংলার প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শিশুদের জন্য শিশু অধিকার আইন করে যান, প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক এবং বাধ্যতামূলক করে যান। মেয়েদের শিক্ষা মাধ্যমিক পর্যন্ত অবৈতনিক করে দেন। তিনি আমাদেরকে একটি সংবিধান দেন যেখানে সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিতের দায়িত্ব নিয়েছেন সরকার। তিনি ক্রমেই একটি যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশকে গড়ে তুলছিলেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য আমাদের উন্নয়ন-অগ্রগতির চাকাকে স্তব্ধ করে দিয়ে পরিবার- পরিজনসহ জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়।’

বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সরকার কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ঋণ দিচ্ছে, ন্যায্যমূল্যে কৃষি উপকরণ- সার দিচ্ছে, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি-উপবৃত্তির পাশাপাশি প্রিপ্রাইমারি থেকে মাধ্যমিক শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিবছর ১ জানুয়ারি বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করছে। স্বাস্থ্যসেবাকে দোরগড়ায় আনতে কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়ে সেখান থেকে ৩০ প্রকারের ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। ঢাকার জেলা প্রশাসক মো. সালাহউদ্দিন অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন এবং শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ ডিসপ্লে উপভোগ করেন।