জব্দ করা আবজালের সম্পত্তি এখনও পরিবারের নিয়ন্ত্রণে

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মচারী আবজাল হোসেনের সম্পত্তি ৮ মাস আগে আদালতের আদেশে ক্রোক (জব্দ) করা হয়। কিন্তু বাস্তবে এখনও তার বাড়িগুলোর ভাড়া তুলছেন পরিবারের সদস্যরা। এমনকি তার মালিকানায় থাকা ইটভাটাও চলছে সমানতালে।

ফরিদপুরের মতো মফস্বলে আবজালের ২ সুরম্য বাড়িতে সবার চোখ আটকে যায়। এগুলোতে রয়েছে অত্যাধুনিক সব সুবিধা। চারপাশে বসানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। বাড়ি দুটি ক্রোক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে দুদকের নোটিশ ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। বাড়িগুলো এখনও রয়েছে আবজালের নিয়ন্ত্রণে।

শহরের টেপাখোলা লেকপাড়ের বাড়িটিতে বসবাস করছেন আবজালের বোন জামাই হালিম শেখ। তিনি বলেন, ‘তারা (আবজাল ও তার স্ত্রী রুবিনা খানম) একটু সমস্যায় আছে, এই জন্য বাড়িটি দেখাশোনা করতে আমার পরিবার নিয়ে আছি।’ আদালতের ক্রোক আদেশের পরও কীভাবে বাড়িতে রয়েছেন-এ প্রশ্নের জবাবে কিছু জানাতে পারেননি হালিম।

এছাড়া, রাজধানীর উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর সড়কের ছয় তলা দুইটি বাড়িও ক্রোক করা হয়েছে আট মাস আগে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হয়েও ২০ বছরে কোটি কোটি টাকার মালিক হন আবজাল। বাড়ি কেনেন অস্ট্রেলিয়াতেও। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। বিদেশ গমনে দেয়া হয় নিষেধাজ্ঞা। এরপরই গা ঢাকা দেন তিনি। গত ১০ মাস ধরে তাকে খুঁজে পাচ্ছে না দুদক।

তবে আবজালের বাড়ির কেয়ারটেকার বলছেন যে, স্ত্রী রুবিনাকে নিয়ে ১০ জানুয়ারি দেশ ছেড়েছেন তিনি। এই দম্পতি অস্ট্রেলিয়ায় নিরাপদে চলে গেছেন। সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছেন নিজেদের বাড়িতে। নিষেধাজ্ঞার পরও কীভাবে তারা দেশ ছাড়লেন, তার কোন ব্যাখ্যা নেই দুদকের ফরিদপুর কার্যালয়ের কাছে।

ফরিদপুরে দুদকের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আবজালের মামলাটি দেখাশোনা করা হয় ঢাকার প্রধান কার্যালয় থেকে। আমাদের কাছে আদালতের নির্দেশনা আসার পরে বাড়িতে নোটিশ টানিয়ে দিয়েছিলাম। তবে এখন কী অবস্থা সেটা দ্রুত সময়ের মধ্যে দেখে দুদকের ঢাকা কার্যালয়কে জানাবো।’

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে আবজাল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৩১০ কোটি ৮০ লাখ টাকার আলাদা দুটি মামলা করেছে দুদক। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/আখনূর রহমান