জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দিয়েছে কমনওয়েলথ

কমনওয়েলথ একটি সংস্কারমূলক জলবায়ু পরিবর্তন মডেল শুরু করেছে। এটা আদিবাসীদের প্রাচীন দর্শন, জ্ঞান ও প্রজ্ঞার সাথে নতুন উদ্ভাবন, প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের সন্নিবেশ ঘটিয়েছে।

শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমন আর্থ কর্মসূচিটি বিভিন্ন প্রকল্পর মধ্যে নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করবে। যে কোন সম্প্রদায়, জনপদ, দেশ বা অঞ্চলের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য এটির পরিবর্তন ও সংস্কার করা যাবে।

বিশ্বকে রক্ষায় টেকসই উন্নয়নের উপায় বের করতে আলোচনার জন্য লন্ডনে কমনওয়েলথের সদরদপ্তরে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সরকারি কর্মকর্তা, পরিবেশবাদী, বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ ও প্রতিনিধিরা মিলিত হন।

সংগঠনের মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এখনো শেষ হয়নি। এই লড়াই চলছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘কারণ এটাই বাস্তবিক। বিশুদ্ধ পানি, বনভূমি ও ক্ষতিগ্রস্ত জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও সমুদ্রের পরিবেশের সুরক্ষা, জলবায়ু সম্পর্কে আমাদের জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত করতে বিদ্যমান কৌশল আমাদের পৃথিবীর ক্ষয়রোধ করতে অসমর্থ।’

তিনি আরো বলেন, কমন আর্থ সংস্কারমূলক অর্থনৈতিক মডেলের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।

অর্থনীতিবিদ স্টুয়ার্ট কোয়ান কিভাবে এ ধরনের অর্থনীতি কাজ করবে তা ব্যাখ্যা করেন।

কমন আর্থ প্রকল্পটি পাঁচটি ওয়ার্কিং গ্রপের কর্মকান্ডের উপর ভিত্তি করে চলবে- ‘কমনওয়েলথ স্মল স্টেট, ক্লাইমেট চেঞ্জ ব্লু-গ্রিন ট্রেড ওয়ার্কিং গ্রুপ’, ‘জেন্ডার অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ ওয়ার্কিং গ্রুপ’, ‘ইন্ডিজিনাস অ্যাফেয়ার্স ওয়ার্কিং গ্রুপ’, ‘ওয়াটার প্রোসপারিটি ওয়ার্কিং গ্রুপ’ ও ‘রিজেনারেটিভ ফাইনেন্সিয়াল ওয়ার্কিং গ্রুপ’।

ডোমিনিকায় কালিনাগো ইন্ডিয়ানদের জন্য ট্রাইবাল কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদস্য নিচি আবো বলেন, ‘কালিনাগো পদ্ধতি একদম সহজ, এটা জড়বাদীও নয়, আবার নিষ্কাশনক্ষমও নয়, এই পদ্ধতিতে পৃথিবী ও গোটা পরিবেশের জন্য সম্মান রয়েছে এবং আমরা আমাদের জীবনচক্রের একটি উপাদান মনে করি। এক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই যে আমরা আত্মীকভাবে পৃথিবীর সাথে সংযুক্ত নই। এবং এই প্রাচীন দর্শনের দিকেই বিশ্ব আজ ফিরে আসছে, কারণ পশ্চিমা সমাজ বুঝতে পেয়েছে যে বিজ্ঞানও দেশীয় জীবনযাপনের পদ্ধতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটি বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণিত।’ তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/এমএইচ