জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন বিষয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের সাথে বাংলাদেশের আলোচনা

যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন বিষয়ে বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির প্রতিনিধি ও লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনের মধ্যে লন্ডনে এক বিশেষ আলোচনা সভা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন জানায়, অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন,‘যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশি ভাই ও বোনেরা যাতে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র যুক্তরাজ্য থেকে সহজে পেতে পারেন সেজন্য বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে’।

তিনি আরও বলেন, দ্বৈত-নাগরিকত্ব সনদসহ জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন সম্পর্কে কমিউনিটির নেতারা যেসব পরামর্শ দিয়েছেন সেগুলো নির্বাচন কমিশনসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে এবং এসবের দ্রুত সমাধানের জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি জানান, ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ হাই কমিশন থেকে দ্বৈত-নাগরিকত্ব সনদের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে এবং এ বিষয়ে একটি খুব শিগগিরই নির্দেশনা দেয়া হতে পারে বলে আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। হাইকমিশনে যেসকল প্রবাসী বাংলাদেশির জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে, তাদের জাতীয় পরিচয়ত্রের সব তথ্য হাইকমিশনের নির্দিষ্ট ই-মেইলে(NID@bhclondon.org.uk, NOC4NID@bhclondon.org.uk)পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, তাদের ডিজিটাল জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ড দ্রুতই দেয়া হবে। এছাড়া, যাদের তথ্য আগামী ১০ মার্চের মধ্যে আমাদের ই-মেইলে জানানো হবে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র মার্চে লন্ডন মিশনে‘মুজিববর্ষ বিশেষ কন্স্যুলার সপ্তাহ’পালনের সময় দেয়ার চেষ্টা করা হবে।

হাইকমিশনার আরও বলেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা যাতে জাতীয় পরিচয়পত্র যুক্তরাজ্য থেকেই পেতে পারেন সেজন্য বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় থেকেই নির্বাচন কমিশনে চিঠি লেখাসহ সব ধরনের উদ্যোগ ও পদক্ষেপ সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ও আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করেছে। এর প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে নির্বাচন কমিশনের একটি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিনিধি দল যুক্তরাজ্যে এসে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের সম্ভাব্যতা যাচাই করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যেই প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সভায় বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তাদের মধ্যে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবি, ব্যবসায়ী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। তারা জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন প্রক্রিয়া, বিশেষ করে দ্বৈত-নাগরিকত্ব সনদ নিয়ে বাংলাদেশি-ব্রিটিশ কমিউনিটির মধ্যে যেসব প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সেসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ ও মতামত ব্যক্ত করেন। সূত্র-ইউএনবি

আজকের বাজার/আখনূর রহমান