রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচনে লাঙ্গলের জয় নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছেন জাতীয় পার্টির শীর্ষনেতারা। দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সংসদ সদস্য হওয়ায় সরাসরি নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে না পারলেও, তিনি এখন রংপুরে অবস্থান করছেন।
তবে, নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিচ্ছেন জাপার কো-চেয়ারম্যান এবং এরশাদের সহোদর জিএম কাদের। শনিবার ১৬ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে রংপুরে পৌঁছেছেন দলের মহাসচিব ছাড়াও প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু,উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জহির, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক ভূইয়া, হারুনুর রশিদ, জাতীয় যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক ফকরুল আহসান শাহজাদা, জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি সৈয়দ ইফতেখার আহসান, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু, জাপার কেন্দ্রীয় নেতা লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, দেলোয়ার হোসেন মিলন, মিয়া আলমগীর, শেখ মো. শান্ত, জিএম বাবু মন্ডল, তিতাস মোস্তফা, ইউনুস মৃধাসহ দলের অংঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের অর্ধশতাধিক নেতা।
জাপা মহাসচিব রংপুর অবস্থানকালে সরাসরি নির্বাচনী প্রচারে অংশ না নিলেও ঢাকা থেকে আগত দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে মনিটারিং করবেন বলে জানানো হয়েছে।
জাপা কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, রংপুরে আমাদের প্রার্থী জয়ী হওয়ার যোগ্য। তাছাড়া রংপুরের মাটি ও মানুষের সাথে এরশাদের সম্পর্ক। নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ হলে জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রাথীই এখানে জয়লাভ করবে। ঢাকা থেকে আগত নেতাদের সম্পর্কে তিনি বলেন, এটাইতো দলের প্রতি নেতাদের কমিটমেন্ট বা দায়িত্ববোধ। ইতিমধ্যে বিএনপি ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেরও অনেক কেন্দ্রীয় নেতা রংপুরে অবস্থান করছেন বলে তিনি জানান।
রসিক নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাপা সমর্থিত প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, অর্থই সব নয়। তা আমি প্রমাণ পেয়েছি। আমার অর্থ নেই। কিন্তু আমাকে এবং পল্লীবন্ধু এরশাদকে এ রংপুরবাসী কতটুকু ভালোবাসে তা আমি ভাষায় বুঝাতে পারবো না। বিভিন্ন মার্কেটের কর্মচারীরা, কাচামালের ব্যবসায়ীরা এমনকি অনেক রিকশাওয়ালা নিজেরা চাঁদা তুলে আমার নির্বাচনের পোস্টার লিফলেট বানাচ্ছে।
তিনি বলেন, দল আমাকে যেভাবে মানসিক ও শারীরিকভাবে সাহায্য করছে, তাতে আমি কৃতজ্ঞ। মিডিয়াও সত্য তথ্য যেভাবে তুলে ধরছে তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আজকের বাজার:এলকে/ ১৭ ডিসেম্বর
