জিও আসার পর যে ভাবে বদলেছে ভারতের টেলি দুনিয়া

তথ্যপ্রযুক্তির এই সময়ে রিলায়্যান্স তাদের নতুন প্রযুক্তির জিও মোবাইল সেট বাজারে আনার সঙ্গে সঙ্গে পুরো ভারতজুড়ে এর কদর বেড়েছে অনেকগুন। বলা হয়, তাদের এই দুঃসময়ে জিও যেন রিলায়েন্সের প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছে। কিভাবে সম্ভব হলো, কেনইবা জিও সবার কাছে এতো জনপ্রিয় হলো? নিচের কারণগুলো পড়লেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।

সস্তা মোবাইল ডেটা
জিও আসার পর থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে কমেছে মোবাইল ডেটার খরচ। বাজারে পা দিয়েই ডেটাকে সম্পূর্ণ ফ্রি করে দিয়েছিল রিলায়্যান্স জিও। জিও-র সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ডেটার খরচের পরিমাণ কমিয়েছে অন্যান্য সংস্থাও।

ফ্রি ভয়েস কল
সমস্ত নেটওয়ার্কের সমস্ত ভয়েস কলকে ফ্রি করে দেওয়ার এই পথ দেখিয়েছে জিও। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে জিও-র মতো একই পন্থা নিয়েছে ওই দেশের অন্যান্য টেলি কোম্পানিগুলি।

ফোর-জি স্মার্টফোনের চাহিদা
জিও পরবর্তী মোবাইল দুনিয়ায় সুনামির মতো বৃদ্ধি পেয়েছে ফোর-জি স্মার্ট ফোনের চাহিদা। মোবাইল ডেটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পাওয়া যাচ্ছে বিনামূল্যে। না হলেও তার দাম অত্যন্ত কম। ফলে মানুষ চাইছেন নেটের স্পিড বাড়িয়ে সোশ্যাল দুনিয়ায় আরও অ্যাকটিভ থাকতে।

অনলাইন লেনদেন বৃদ্ধি
জিও দুনিয়ায় ফ্রি মোবাইল ডেটার যুগে আগের থেকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে অনলাইন লেনদেন।

দ্রুততর মোবাইল ডেটা
শুধু বিনামূল্যের পরিষেবা দেওয়াই নয়, এখন মোবাইলে নেট ব্যবহার করা যায় অনেক দ্রুততার সঙ্গে

৩জি-র মৃত্যু
জিও-র বদৌলতে বিনামূল্যে মোবাইল ডেটা বাজারে আসার পর এখন চাহিদা ৪ জি এবং ৫ জি-র। ২ জি এবং ৩ জি প্রায় বিদায়ের পথে।

রেকর্ড সৃষ্টি
ছয় মাসেরও কম সময়ে ১০ কোটি গ্রাহক তৈরি করে রেকর্ড তৈরি করেছিল জিও। জিও-র দাবি, এই মুহূর্তে তাদের গ্রাহক সংখ্যা ১০ কোটি ৩০ লক্ষ।
ব্রডব্যান্ড এবং ইন্টারনেটের যোগান বৃদ্ধি আগের থেকে ব্রডব্যান্ড এবং ইন্টারনেটের যোগান বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই।

ভোডাফোন ও আইডিয়ার সংযুক্তি
জিও ধাক্কা সামলানোর জন্যই মার্জ করেছিল ভোডাফোন ও আইডিয়া সেলুলার। জিও এফেক্টের পর অনলাইন স্ট্রিমিংয়ের চাহিদা বেড়েছে বিপুল পরিমাণে।
আর এসব কারণেই জিও এখন ভারতের সবার মুখ থেকে হাতে হাতে।