জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারা আর দেখতে চাই না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন বানচাল ও সরকার উৎখাতের নামে ২০১৪ ও ২০১৫ সালের মতো জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না তার সরকার।

তিনি বলেন, ‘আমরা জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার ভয়াবহ দৃশ্য দেখেছি … কোনো স্বাভাবিক মানুষ এরকম ভয়াবহ কাজ করতে পারে না… ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বাংলাদেশে যা ঘটে তা অবিশ্বাস্য ছিল। আমরা ভবিষ্যতে এরকম ঘটনা আর দেখতে চাই না।’

বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর সকালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমিতে ১০৭ তম, ১০৮ তম ও ১০৯ তম আইন ও প্রশাসন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ৫০০ জন নিহত এবং ৩,৯০০ জন আহত হন। সেসময় শত শত প্রতিষ্ঠান, যানবাহন, রেল ইঞ্জিন ভাঙচুর করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ভোটের অধিকার জনগণের মৌলিক অধিকারের মধ্যে একটি এবং তারা যাকে ইচ্ছে তাকে ভোট দিতে পারবে। দেশে গণতান্ত্রিক ধারা থাকলে, দেশের উন্নয়নও বজায় থাকবে।’

নবনিযুক্ত সরকারি কর্মচারীদের দেশপ্রেমের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সততাই প্রকৃত শক্তি … আপনাদের আন্তরিকতা এবং নিষ্ঠার সাথে আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার জন্য কর্মচারীদের নির্দেশ দেন কারণ এগুলো পরিবার, সমাজ ও দেশকে ধ্বংস করে দিতে পারে।

তিনি উল্লেখ করেন, তার সরকার সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। এসবের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, সকলকে অবশ্যই দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তার সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি সত্য যে স্বল্প উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আর সুবিধা পাবে না। যখন আমরা একটি উন্নয়নশীল হিসেবে আমাদের দেশ পরিচালনায় সক্ষম হব, তখন এ সকল সুবিধার প্রয়োজনও হবে না।’

অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদিক, জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহমেদ ও বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর এম মোশাররফ হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী দুটি কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ করেন। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ