জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে: অর্থমন্ত্রী

দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা কমানো হবে। আমরা মনে করছি দাম একটু কমালে অর্থনীতি আরেকটু শক্তিশালী হবে। তবে এ ব্যাপারে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা আলোচনা করব। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলব। কাগজপত্র প্রস্তুত করছি।’

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী।

বৈঠকে আইএমএফ মিশনের নতুন প্রধান ব্রায়ান এইটকেনসহ আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠকের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ‘আইএমএফ মিশনের নতুন প্রধানের সঙ্গে একটি পরিচয় পর্ব হলো। আইএমএফের সঙ্গে মূলত আলোচনা হবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে’।

আইএমএফের নতুন কোনো কর্মসূচিতে বাংলাদেশ যোগ দেবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘না, তার কোনো সুযোগ নেই, কারণ আমাদের ব্যালান্স অব পেমেন্ট এখন অনেক বেশি।

এসময় তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম কমালে বিদ্যুতের দামে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে যা অর্থনীতির জন্য সহায়ক হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের চলমান অর্থনীতির গতি ঠিক রয়েছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করেছে আইএমএফ- এর এই মিশন। তারা এই গতি ঠিক রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলেছেন, বাংলাদেশের চলমান অর্থনীতির গতি ঠিক রয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির এ অগ্রগতি যাতে চলমান থাকে, সে ব্যাপারে তারা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমায় সরকার। এর মধ্যে অকটেন ও পেট্রোল প্রতি লিটারে ১০ টাকা এবং ডিজেল ও কেরোসিন প্রতি লিটারে তিন টাকা করে কমায়। এর ফলে লিটারপ্রতি ডিজেলের দাম ৬৫ টাকা, কেরোসিনের দাম ৬৫ টাকা, অকটেনের দাম ৮৯ টাকা ও পেট্রোলের দাম ৮৬ টাকা করে বিক্রি হয়। এরও আগে গত ৩১ মার্চ ফার্নেস তেলের দাম প্রতি লিটার ৬০ টাকা থেকে ৪২ টাকায় নামিয়ে আনা হয়।