জয়পুরহাটে এবারও রোপা আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে আবহাওয়া ভালো থাকায় রোপা আমনের এবারও বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। সোনালী ধানের হেলে পড়া শীষে এখন ঝলমল করছে জেলার মাঠ-ঘাট।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বাসস’কে জানায়, ২০১৯-২০ রোপা আমন চাষ মৌসুমে ৭৫ হাজার ৭শ ৭০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হলেও চাষ হয়েছে ৭৩ হাজার ১৬০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) ৬৭ হাজার ৪৮০ হেক্টর, হাইব্রিড জাতের ৫ হাজার ১০০ হেক্টর ও স্থানিয় জাতের রয়েছে ৫৮০ হেক্টর। এতে চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৪৫৯ মেট্রিক টন । হেক্টর প্রতি গড় ফলন ধরা হয়েছে ২ দশমিক ৮৭ মেট্রিক টন চাল। জয়পুরহাটের পাঁচ উপজেলায় রোপা আমন চাষ সফল করতে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি বিএডিসি (বীজ) থেকে উন্নত মানের ধানবীজ সরবরাহ করে কৃষকদের মাঝে।
কৃষি সম্প্রসারণ সূত্র আরো জানায়, কৃষকরা যথা সময়ে জমি চাষ-খোড় দিয়ে প্রস্তুত করে। আষাঢ় মাসে বৃষ্টিপাত কিছুটা কম হলেও শ্রাবণ মাসের ভারি বৃষ্টিপাতে পানির অভাব দূর হয়ে যায়। অনেক এলাকায় কৃষকরা সেচযন্ত্র (গভীর ও অগভীর নলকূপ) ব্যবহার করে জমিতে পানি সেচ দিয়ে আমনের চারা রোপণের কার্যক্রম শুরু করলেও শ্রাবণ মাসে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে পানির আর কোন সমস্যা হয়নি।
কৃষি বিভাগ জানায়, জয়পুরহাটে চলতি ২০১৯-২০ মৌসুমে রোপা আমন চাষ সফল করতে ৪ হাজার ১৯৫ হেক্টর জমিতে আদর্শ বীজতলা তৈরি করা হয়। যেখানে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৭৩৯ হেক্টর । আবহাওয়া ভালো থাকায় আমন ধানের এবারও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা প্রকাশ করছে স্থানিয় কৃষক ও কৃষি বিভাগ। ধানের শীষের ভারে দাঁড়িয়ে থাকা ধান হেলে পড়েছে জমিতে। কিছু এলাকায় আগাম জাতের ধান টুকটাক কাটা শুরু হলেও নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পুরোদমে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হবে বলে বাসস’কে জানান , জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুধেন্দ্র নাথ রায়।
উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ রোপা আমন চাষ মৌসুমে জেলায় ৭২ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ হয়েছিল। এতে চাল উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ১৫ হাজার ৫ শ ৮২ মেট্রিক টন। যা জেলার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে অন্যত্র সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছিল বলে জানায় কৃষি বিভাগ।