ঝিনাইদহের তিন রাজাকারের তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত

মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঝিনাইদহ সদরের তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

এটি তদন্ত সংস্থার ৭৫তম চূড়ান্ত প্রতিবেদন। যাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন, তারা হলেন-মো. আব্দুর রশিদ মিয়া (৬৬) ও মো. সাহেব আলী মালিথা (৬৮)। পলাতক আরেকজনের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

আজ রোববার ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এম সানাউল হক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। আসামিদের মধ্যে দু’জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। শিগগিরই এ তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনে জমা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে তদন্ত সংস্থা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২৭ জুন তদন্ত শুরু হয়। তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যার দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগ-১: ১৯৭১ সালের ১৭ জুন রাজাকার রশিদ মিয়ার নেতৃত্বে সহযোগী রাজাকার সাহেব আলী মালিথাসহ পলাতক আসামীসহ ১০/১৫ জন রাজাকার কোলা গ্রামে শহীদ আজিবর মন্ডলদের বাড়ী আক্রমণ করে মুক্তিযোদ্ধা মহির উদ্দিন মন্ডল ও আসির উদ্দিন মন্ডলদের আটক করতে এসে না পেয়ে তাদের তিনভাই আজিবর, হবিবর রহমান মন্ডল ওরফে হাবা মন্ডল ও আনছার মন্ডলদের আটক ও মারধর, পিঠমোড়া করে বেধে অপহরণ করে ঝিনাইদহ শহরের দিকে নিয়ে যায়। পরে তাদের মাগুরা রোডের ধোপাঘাটা ব্রীজের ওপর গুলি করে হত্যার পর লাশ নবগঙ্গা নদীতে ফেলে দেয়।

অভিযোগ-২: একাত্তর সালের ২৪ জুন আসামীরা মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী নিরীহ,নিরস্ত্র মুলুক চাঁনকে কোলা গ্রামের বসত বাড়ী হতে আটক করা হয়। অপহরণের পর তার আর সন্ধান পাওয়া যায়নি।

রশিদ মিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলো।

সাহেব আলী মালিথা একাত্তর সালে জামায়াতে ইসলামের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলো।

আজকের বাজার/এমএইচ