টরন্টো সিটির মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার তোফাজ্জল হকের ইশতেহার ঘোষণা

টরন্টো সিটির মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার তোফাজ্জল হকের ইশতেহার ঘোষণা টরন্টো সিটির একমাত্র বাংলাদেশি মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার তোফাজ্জল হকের নির্বাচনী প্রচারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল ৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার। এদিন সন্ধ্যায় টরন্টোর রয়েল কানাডিয়ান লিজিওন হলে বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে নির্বাচনের ইশতেহার তুলে ধরেন মেয়র প্রার্থী তোফাজ্জল হক। কমিউনিটির সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করলে ২২ অক্টোবরের নির্বাচনে জয়লাভ করা সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। ‘ক্যাম্পেইন কিক অফ’ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন CBN-এর প্রধান সম্পাদক মাহবুব ওসমানী। আগত অতিথিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে কানাডা এবং বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান।

তিন পর্বে ভাগ করা এই অনুষ্ঠানে প্রথম পর্বে সঞ্চালক মেয়র প্রার্থী তোফাজ্জল হকের জীবন বৃত্তান্ত, পড়াশুনা, অভিজ্ঞতা, সম্মাননা ইত্যাদি বিষয়গুলো তুলে ধরেন। দ্বিতীয় পর্বে তোফাজ্জল হক বক্তব্য রাখেন এবং তাঁর বক্তব্যে নির্বাচনী ইশতেহার তুলে ধরেন। শেষ পর্বে ছিল অতিথিদের প্রশ্ন এবং প্রার্থীর উত্তর প্রদান পর্ব। তোফাজ্জল হক তাঁর বক্তব্যে বলেন, কমিউনিটির সবাই একতাবদ্ধ হলে মেয়র হিসেবে জয় লাভ করা সম্ভব।

এক্ষেত্রে তিনি প্রথম বাংলাদেশি এমপিপি ডলি বেগমের কথা উল্লেখ করে বলেন, কমিউনিটির সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে আজ একজন বাংলাদেশি কানাডার যে কোন পার্লামেন্টে জায়গা করে নিয়েছেন এবং আমাদের মুখ উজ্জ্বল করছেন।মেয়র হিসেবে কীভাবে জয়লাভ সম্ভব তা তিনি একটি ‘সিম্পল ম্যাথ’-এর মাধ্যমে ব্যাখ্যা দেন। টরন্টো সিটিতে বাংলাদেশির ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। এরা হচ্ছেন বেসিক ভোটার। এই ৪৫ হাজার বাংলাদেশিদের সাহায্য নিয়েই জয়লাভ করা সম্ভব।

তোফাজ্জল বলেন, এই বেসিক ভোটাররা সবাই যদি তাঁকে ভোট দেন এবং সেই সাথে তারা প্রত্যেকেই যদি আরো ১০ জন ভোটারকে তাঁকে ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসতে পারেন তবে তার প্রাপ্ত ভোট হবে ৪ লাখ ৫০ হাজার। বেসিক ভোটাররা প্রত্যেকে ৮ জন ভোটার সংগ্রহ করতে পারলে তার প্রাপ্ত ভোট হবে ৩ লাখ ৬০ হাজার। ৬ জন ভোটার সংগ্রহ করলে হবে ২ লাখ ৭০ হাজার, ৪ জন হলে ১ লাখ ৮০ হাজার, ২ জন হলে ৯০ হাজার, এবং যদি বেসিক ভোটাররাই শুধুমাত্র তাকে ভোট দেন তাতেও ৪৫ হাজার ভোট পাওয়া সম্ভব।

এর আগে যারা মেয়র হিসেবে জয়ী হয়েছেন তারা কেউই সাড়ে চার লাখ ভোট পাননি। তোফাজ্জল তার নির্বাচনী ইশতেহার ব্যাখ্যা করেন। টিটিসি’র মানোন্নয়ন, সাবসিডাইজ হাউজিং, যোগাযোগ ও শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার, উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, নিরাপত্তা, ন্যূনতম মজুরি, সিঙ্গল মাদারদের জীবনযাপন সহজীকরণ ইত্যাদি নানাবিধ পদক্ষেপ নিবেন বলে নির্বাচনী ইশতেহারে তিনি উল্লেখ করেন। বর্তমান মেয়র জন টরির সমালোচনা করে তিনি বলেন, একজন আইনজ্ঞ হয়েও সঠিক নেতৃত্বের অভাবে তিনি শুধু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন।

বর্তমান প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ডের সিটি কাউন্সিলর পদ কমানোরও তীব্র সমালোচনা করেন তোফাজ্জল। প্রশ্নোত্তর পর্বে অতিথিদের মধ্য থেকে প্রশ্ন করেন আখলাক হোসাইন, আলম মোড়াল, মার্জিয়া হক, মম কাজী প্রমুখ। প্রশ্নোত্তর পর্বে আলোচনায় অংশ নেন আনোয়ারুল কবির, মোহাম্মদ হোসেন, নওশের আলী, মহসিন ভূঁইয়া, ফরিদা হক, মোহাম্মদ আলী শাওন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই ২২ অক্টোবরের নির্বাচনে ব্যারিস্টার তোফাজ্জল হককে মেয়র পদে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

জাকির/ আজকের বাজার