টাই নিয়েই ৩০ বছরের পথ চলা

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকার সময়ই টাই নিয়ে কাজ শুরু করেন অনুপম সিল্ক গার্মেন্টসের পোপাইটার ও সিইও আমিনুল ইসলাম সানু। সেই থেকে ৩০ বছর ধরে টাই নিয়েই পথ চলছেন তিনি । আজকের বাজার ও আজকের বাজার টেলিভিশন,এবিটিভি’র কাছে সেই গল্প বলেছেন । তাঁর সঙ্গে আলাপচারিতার চুম্বক অংশ তাঁরই ভাষায় প্রকাশ করা হলো।

আসলে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য টাই একটি ভিন্ন মাত্রার পোশাকি অলংকার। বেশকিছু গার্মেন্টসে বহুদিন ধরেই টাই বানানো হচ্ছিল। আর টাই ব্যবহারকারীর সংখ্যাও ছিলো অনেক কম। একেবারেই সামান্য রুচিশীল বা হাই অফিসিয়ালের মধ্যেই টাইয়ের ব্যবহার সীমাবদ্ধ ছিলো। তবে ধীরে ধীরে যেমনি বেড়েছে ব্যবহারকারীর সংখ্যা,তেমনি বড় হয়েছে এর বাজার। আশির দশকের গোড়ার দিকে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকার সময়ে টাই ব্যবহার শুরু করি। ১৯৮৫ সালে নিজের বানানো টাই এবং ম্যাচিং করা শার্ট পরে, সোনাগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত একটি আর্ন্তজাতিক সিল্ক ফেয়ার দেখতে যাই। সেই মেলায় অংশ নেয়ায় উৎসাহী এক সিল্ক উদ্যোক্তা জানতে চান,আমার ব্যবহার করা টাই সম্পর্কে। তখন তাকে জানালাম,৮০/৮২’র দিকে রাজশাহীতে পড়াশোনার সময় সেরিকালচার বোর্ডের সঙ্গে কাজ করার সূত্র ধরেই তাদের উৎপাদিত কাপড় দিয়ে ম্যাচিং করে শার্ট এবং টাই নিজ হাতে বানিয়ে পরি। তখন আমার শার্টে ব্যবহৃত তেমনি একটি সিল্ক টাই দেখে ওই উদ্যোক্তা বাণিজ্যিকভাবে তাকে কিছু টাই বানিয়ে দিতে বললেন। ভারতীয় ওই ব্যবসায়ী ছিলেন বাংলাদেশে সিল্কের প্রথম উদ্যোক্তা। বলতে গেলে যার হাত ধরেই এদেশে সিল্কের নানামুখি ব্যবহার শুরু হয়। তিনি আমাকে কিছু টাই বানিয়ে দিতে বললেন। তখন আমি সেরিকালচার বোর্ডের কাপড় এবং ওনার নিজের সিল্ক কাপড় দিয়ে কিছু টাই বানিয়ে দিই। আর এরমধ্যে দিয়েই ওই উদ্যোক্তার সঙ্গে ছাত্র অবস্থাতেই শুরু হয় আমার ব্যবসা। ছাত্র অবস্থায় কিছু আয় রোজগার হওয়াটা ভালোই লাগে। আর ভালো লাগার সূত্র ধরে তখন সোনারগাঁ,শেরাটন হোটেলের নিজস্ব বড় বড় বিক্রয় কেন্দ্রে,কারুপণ্য,কারুপল্লিসহ বেশ কিছু হ্যান্ডিক্রাফটস ব্যবসায়ী আমার কাছ থেকে টাই বানিয়ে নিতে থাকেন। এরপর ৮৮’র দিকে বাংলাদেশে বিটিএমসি’র একটি মেলা হয়। মেলায় সিল্কের সঙ্গে জড়িতদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সে মেলায় আমার বানানো সিল্কের টাইগুলো প্রদর্শন করা হয়।

এসব দেখে এফবিসিসিআইয়ের তখনকার প্রেসিডেন্ট আব্দুল আওয়াল সাহেব আমাকে সিল্ক নিয়ে কাজ অব্যাহত রাখতে উৎসাহ যোগান। সিল্ক টাই আরো উন্নত করতে তিনি অনুপ্রেরণা দেন। তার পরামর্শে মান উন্নয়নের চেষ্টায় তখন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তৎকালীন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ কর্মকর্তা কর্ণেল ফারুক খান টাইয়ের বড় একটি ক্রয়াদেশ দেন। তখন মিরপুর বেনারসি পল্লীতে হ্যান্ডলুমের মাধ্যমে নিজেই কাপড় তৈরি করি এবং তা দিয়েই এনডিএসসিতে টাইয়ের বড় চালানটি সরবরাহ করি। সেখান থেকেই আসলে আমার বাণিজ্যিক পথ চলা শুরু।

১৯ ৮৮ বা ৯০’র দিকেই পুরোদমে ব্যবসা শুরু করি। মাঝে কিছু দিন ব্যাংকে চাকরি করি,কিন্তু তাতে মন দিতে পারিনি। এরপরই পরিকল্পনা হাতে নিই। তখন প্রথমদিকে বি সি ক আমাদের সহযোগিতা করে। তারা আমার প্রোডাক্টকে দেশের বিভিন্ন মেলায় তুলে ধরে। বিনাখরচে তারা স্টল দিয়ে সহযোগিতা করে। দেশের প্রায় অনেকে জেলা শহরে আমার প্রোডাক্ট পরিচিত করিয়েছে বি সি ক। রাজধানী ঢাকাতেও বেশ কিছু বড় বড় মেলায় আমাকে অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে তারা। সেখান থেকেই মূলত আমার প্রোডাক্টের ব্যাপক পরিচিতি তৈরি হয়। এর মধ্য দিয়ে বড় ধরনের একটি বিপণন কার্যক্রমেরও বিস্তার হয়। সে সময় দেশের বেশির ভাগ টাই বিদেশ থেকে আসতো। বাংলাদেশে টাই তৈরির কোন কোম্পানি ছিলো না। আর্মি-নেভী-এয়ারফোর্স সদস্যদের মধ্যে টাইয়ের প্রচুর ব্যবহার ছিলো,যার বেশিরভাগ আসতো জাপানসহ অন্যান্য দেশ থেকে। আর তখন থেকে ধীরে ধীরে শুরু করে আজ পযর্ন্ত ডিফেন্স’র টাই আমার প্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহ করা হয়। এছাড়া আমাদের দেশে রাষ্ট্রীয় একটি রেওয়াজ আছে বিদেশি মেহমান এলে তাদের টাই উপহার দেয়া হয়। ডিফেন্সে তো আছেই,রাষ্ট্রপতি মহোদয়ও বিদেশিদের টাই উপহার দেন,যা আমরা সরবরাহ করি। এ ছাড়া দেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কনভোকেশনে প্রাতিষ্ঠানিক লোগো ব্যবহার করে টাই বানানো হয়,যার বেশিরভাগ আমার প্রতিষ্ঠান সরবরাহ করে। আন্তর্জাতিক মান ও ডিজাইন ঠিক রেখে যে কোনো টাই ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী আমরা তৈরি করে দিচ্ছি। এটা হলো আমাদের সবচে বড় বৈশিষ্ট্য। আরেকটা জিনিস হলো এটা আমরা হাতে সেলাই করি। এতে করে টাইয়ের গুণগত মান অনেক উন্নত হয়। মেশিনের চেয়ে হাতে তৈরির টাই অনেক ভালো হয়।

শুধু টাই নিয়ে ৩০ বছরের পথ চলা
নিজের মেধা ও কৌশলে ধীরে ধীরে আজকের জায়গায় এসেছে আমার প্রতিষ্ঠান। শুধু টাই নিয়ে ৩০ বছরের পথ চলা। এখনও টাই নিয়েই আছি। এটা আমার ভালো লাগে,আমার মনে হয় আমি নিজেই কিছু সৃষ্টি করতে পারছি,যা আমার অনুভূতিকে নাড়া দেয়।

একটা সময় যখন আমি শুধু টাই নিয়ে বিভিন্ন মেলায় অংশ নিতাম,তখন অনেকেই বলতেন শুধু টাই চৈত্র মাসের গরমে, মাথা খারাপ হয়েছে! এদেশে কে টাই পরে? কিন্তু দেখুন এই ক্রিয়েটিভ জিনিসটাকেই আমি আস্তে আস্তে এমন এক জায়গায় নিয়ে এসেছি যে মানুষ প্রশংসা করছে এখন।দেখুন আমার গ্রামের বাড়ি পাবনায় একটি পল্লী গড়ে উঠেছে যেখানে দুস্থ মহিলারা আমার এই প্রোডাক্ট সেলাই করেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। প্রায় এক থেকে দেড়শ’ মানুষ কাজ করে আমার ওই পল্লীতে। এরা কেউ খন্ডকালীন আবার কেউ নিয়মিত নিজ নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে এগুলো তৈরি করে। এ কাজ করেই তারা নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করছে,এটা আমার নিজের একটা বড় পাওয়া।
হ্যা, এ সেক্টরে আরো অনেকে আসছেন,তবে তারা কোয়ালিটি বজায় রাখতে পারছে না। তারা কত কম দামে দিতে পারলো সেই প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। মেশিনে বানিয়ে উল্টিয়ে দিলেই তো টাই হলো না। টাই বানানোর কিছু টেকনিক আছে। তা মেনেই টাই বানাতে হয়। যদি তা না হতো তাহলে তো দেশের সব গার্মেন্টসই টাই বানাতে পারতো। কিন্তু কেউই তা করছে না। সেলাই করে উল্টিয়ে দেয়া টাই অনেকে বানায়,সেসব টাই যারা বোঝে না বা ওয়ান টাইম হিসেবে ব্যবহার হয়।

আমাদের টাই পরছেন দেশের শীর্ষ ব্যক্তিরা
দেশজ ক্রিয়েটিভ ডিজাইনে তৈরি করা আমার অনেক টাই দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা ব্যবহার করছেন। যাদের কাউকে আমি উপহার দিইনি,কিন্তু তারা কোনো না কোনোভাবে কিনে নিয়েই এসব ব্যবহার করছেন। অনেকে প্রশংসাও করেছেন। যা কিনা অর্থের চেয়ে আমার মানসিক প্রশান্তি আর আনন্দ দেয়।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আইপিও সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এমপিরা দেশীয় প্রতীকে ডিজাইন করা আমাদের তৈরি টাই সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন। তবে দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো বিদেশিরা এসব প্রতীক সম্বলিত টাই কিনলেও,বাঙালিরা তেমন একটা কেনে না।

ব্যবসার ক্ষেত্রে অন্তরায়
টাই সেক্টরটা বড় পরিধির নয়। এটা গার্মেন্টসের একেবারেই ছোট একটি অংশ। তাই ধাপে ধাপে এগোতে গিয়ে ছোটখাটো সমস্যাগুলো আমি নিজেই সারিয়ে নিয়েছি। তবে আর্ন্তজাতিক বাজার ধরবার জন্য যে ধরনের বড় ধারণ মতা দরকার তা আমার নেই,কারণ এটা হ্যান্ডিক্র্যাফটসের মতো বাসায় বাসায় তৈরি হয়। আর সে কারণে বড় পরিসের চাহিদামতো সরবরাহ করা সম্ভব হয় না। এটা হলো আমাদের প্রধান সমস্যা। প্রচুর বৈদেশিক চাহিদা আসে,কিন্তু কোয়ালিটি মেনে হ্যান্ড মেইড সম্ভব নয়। চায়নাসহ বেশকিছু দেশ মেশিন মেইড টাই করে।

এখন আর সিল্কের টাই হচ্ছে না। বর্তমান বাজার দরের কারণে আর সিল্ক নিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই এখন পলিয়েস্টার দিয়েই টাই তৈরি হচ্ছে।

নতুন কেউ এই সেক্টরে আসতে চাইলে
শুধু এই সেক্টর নয়,যে কোনো সেক্টরই হোক না কেন মূলত কোয়ালিটি ঠিক রাখতে হবে প্রথম শর্ত হিসেবে। দেখুন, আজকে অনুপম সিল্ক গামেন্টর্স টাইয়ের জন্য যেভাবে পরিচিত, তা শুধু মাত্র কোয়ালিটির কারণে। কোয়ালিটির দিকে গুরুত্ব দিতে হবে এ কারণে যে কাজটি হলো ক্রিয়েটিভ। নিজের সন্তুষ্টি যতণ পযর্ন্ত আসবে না,ততণ ক্রিয়েটিভ কাজের কোয়ালিটি অর্জিত হয় না। ক্ষেত্র সুতা, রঙ এবং এর ম্যাচিংয়ে ক্রিয়েটিভিটি না থাকলে সন্তুষ্টি আসে না। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী এসব কিছুই করতে হয় কোয়ালিটি ঠিক রেখে।

বিদেশের টাই তৈরির কারখানা কখনও কি পরির্দশন করেছেন?
না আমি কখনও তা করিনি। কিন্তু বিদেশি টাইগুলো ফলো করি,তবে তা অনুকরণ নয়,অনুধাবন। আর সে অনুযায়ী আরো উন্নতকরণের চেষ্টায় আমার তৈরি টাই উন্নত মান ধরে রাখতে পারছে। ক্ষেত্র বলতে পারি চায়নার টাইয়ের চেয়ে আমার তৈরি টাই গুণগত মানে উন্নত । তবে আমি মূলত ফলো করি কোরিয়ান টাই। ইতালি ও কোরিয়ার টাইগুলোর কোয়ালিটি বজায় রেখে ডিজাইনে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করি।

আমার টাইয়ের ক্রেতারা
স্টাফ কলেজ,আনসার,সেনাবাহিনী,নৌবাহিনী,বিমানবাহিনী,বিভিন্ন ব্যাংক,সিঙ্গার,ইফাদ,ক্রিকেট বোর্ড,অলিম্পিক এসোসিয়েশন,কাবাডি ফেডারেশন,দাবা ফেডারেশন,বিভিন্ন নামীদামী কাব,স্কুল-কলেজ,বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় আমার টাইয়ের প্রধান ক্রেতা। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী দাম-দর নির্ধারণ করা হয়। তবে দেড়শ থেকে ১২শ টাকা পযর্ন্ত দাম আমাদের টাইয়ের।

স্মরণীয় ঘটনা
স্মরণীয় অনেক ঘটনা আছে,তবে সম্প্রতি ভারতে নিযুক্ত আমাদের হাই কমিশনার সাহেব আমার বাসায় হঠাৎ হাজির। বিষয় কী জানতেই উনি জানালেন,রাষ্ট্রপতি একটি টাই উপহার দিয়েছেন,যা হাই কমিশনার মহোদয়ের কাছে ভালো লেগেছে,তাই তিনি নিজেও আরো টাই বানিয়ে দিল্লীতে বিভিন্ন জনকে উপহার দিবেন। আর সে কারণে টাই বানাতে চান। এখন তিনি দিল্লীতে আমার বানানো টাই উপহার দিয়ে থাকেন। তিনি বঙ্গভবন থেকে বের হয়ে সরাসরি এসে টাই বানাতে চাইলেন,তা নিজের কাছে অন্যরকম লাগে। এটা অন্যরকম অনুভূতি। আত্মতৃপ্তি পাই। জাতীয় প্রতীকে টাই প্রথম তৈরি করা হয় বর্ণমালা দিয়ে। এরপর জাতীয় পতাকার আদলে। এটাও আমাকে আনন্দ দেয়।

ভ্যাট নিয়ে ভীতি
ব্যবসায়ীদের মধ্যে সবচে’ বেশি ভীতির বিষয় হলো ভ্যাট। এটা না করলেও পারতেন। ভ্যাট ও ইনকাম ট্যাক্স নিয়ে এক ধরনের ভীতি আছে সংশ্লিষ্টদের কারণে। এগুলো দূর করতে হবে। আবার ব্যাংক ভীতি এবার তৈরি হয়েছিলো আবগারি শুল্ক নিয়ে। আসলে এসব ব্যবসার জগতে বিরক্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এছাড়া অনেকে বিদেশি যারা বিনিয়োগ করতে চান,তারাও নানা কারণে ভয় পান। এসব ভয়ভীতি কাটানো উচিত ব্যবসায়ীদের স্বার্থে। আর বাইরের যারা বিনিয়োগ করছে তাদের সরকারের তরফ থেকে আরো সহযোগিতা দেয়া উচিত। যেমন আগে যিনি বিনিয়োগ করতেন তিনি এখানে ভাই বা কারো নামে একাউন্ট করতেন এবং তিনি তা অপারেট করতে পারতেন। এখন তা আর হচ্ছে না। এখন অর্থ লেনদেনে যেসব নিয়মনীতি করা হয়েছে তাতে বিনিয়োগকারী নিরুৎসাহী হচ্ছেন। এগুলো বেশ খানিকটা ঝামেলা করছে ব্যবসার স্বাভাবিক গতিকে। ব্যবসায়ী-বান্ধব পলিসি হচ্ছে না। তবে কিছুটা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হলেও,সবার মাঝে ব্যবসা নিয়ে একটা ভীতি তৈরি হয়েছে। এতে তি হচ্ছে। ভ্যাটটা যদি ধাপে ধাপে আসতো তাহলে হয় তো তা সহনশীল হতো এবং ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে তির মুখে পড়তো না। আমরা এখন উন্নতির দিকে,ভালো খাচ্ছি ভালো পড়ছি। সেখানে সরকারকে কিছু তো দিতে হবে,কিন্তু প্রশ্ন হলো নিয়তান্ত্রিকভাবে দিলে ব্যবসায়ীদের উন্নয়নটা সঠিক ধারায় থাকবে।

আমিনুল ইসলাম সানু
প্রোপাইটার অ্যান্ড সিইও
অনুপম সিল্ক গার্মেন্টস
ভাইস প্রেসিডেন্ট, সিল্ক ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টারস এসোসিয়েশন বাংলাদেশ