টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক ব্যবসায়ী নিহত, বিজিবি ও পুলিশ আহত

কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি ও পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনায় চিহ্নিত এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই বিজিবি ও এক পুলিশ সদস্য। উদ্ধার করা হয়েছে ইয়াবা ও অস্ত্র।

রোববার ভোররাতে টেকনাফ পৌরসভার উত্তর জালিয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আছাদুদ-জামান চৌধুরী।

নিহত মোস্তাক আহমদ ওরফে মুছু (৩৫) টেকনাফ পৌরসভার উত্তর জালিয়াপাড়ার মৃত জাকির হোসেনের ছেলে।

বিজিবি জানিয়েছে, মোস্তাক আহমদ ওরফে মুছু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় ১০টির বেশি মামলা রয়েছে।

লে. কর্নেল আছাদুদ-জামান জানান, ‘শনিবার সন্ধ্যায় টেকনাফ পৌর এলাকা থেকে ইয়াবাসহ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমদ ওরফে মুছুকে আটক করে বিজিবির একটি দল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তার কাছে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা মজুদ থাকার তথ্য জানায়। পরে বৃহস্পতিবার ভোররাতে টেকনাফ থানার পুলিশসহ বিজিবির একটি টহল দল মোস্তাককে নিয়ে টেকনাফ পৌর এলাকার উত্তর জালিয়াপাড়ায় অভিযানে যায়। এ সময় বিজিবি ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তার সহযোগীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা কৌশলগত অবস্থান পরিবর্তন করে পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এক পর্যায়ে গুলিবর্ষণকারীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে মোস্তাককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, ঘটনস্থল থেকে তল্লাশি চালিয়ে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ও একটি দেশে তৈরি বন্দুক পাওয়া যায়। এতে দুই বিজিবি ও এক পুলিশ সদস্য আহত হয় বলেও জানান তিনি।

আছাদুদ-জামান বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ মোস্তাককে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। পরে সেখানে আসা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

মোস্তাক আহমদ ওরফে মুছু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসায় জড়িত অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ১০টি মামলা রয়েছে বলে জানান বিজিবির এ কর্মকর্তা।

নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

আজকের বাজার/এমএইচ