টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করলেই কার্যকর: তোফায়েল

চার টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীর পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করামাত্রই কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেননের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেকোনো সময় পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে পারেন।’

খালেদা জিয়া ১১তম জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না।’

৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হলে বিদেশি পর্যবেক্ষক ও কূটনীতিকরা বড়দিন ও নববর্ষের ছুটির কারণে নাও আসতে পারেন। তাই এই তারিখ নির্ধারণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই।’

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। এতে সব রাজনৈতিক দল অংশ নেবে।

ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল বলেন, এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কর্তৃত্ব নির্বাচন কমিশনের।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি পূরণ করা যেত কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, ঐক্যফ্রন্টের নেতারাও ভালো করে জানেন যে তাদের সব দাবি পূরণ করার মতো নয়। তাই তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

‘তাদের প্রথম দাবি ছিল প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ। কিন্তু ভারত যদি তাদের প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচন করতে পারে তাহলে বাংলাদেশে সমস্যা কী?’ প্রশ্ন রাখেন তিনি।

মন্ত্রীর আশা, সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি জানান, এখন পর্যন্ত মোট চার হাজার ৩০০ আগ্রহী ব্যক্তি আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী বুধবার তাদের দিকনির্দেশনা দেবেন।

‘পাশাপাশি, ১৫ নভেম্বরের পর সংসদীয় বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। তারপর মনোনয়নের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে,’ যোগ করেন তোফায়েল।

বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেননের সাথে বৈঠককালে তারা বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন এবং দুদেশের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করেছেন।

তিনি জানান, এখন পর্যন্ত নরওয়ের ১৩টি কোম্পানি বাংলাদেশে ২৫ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। তথ্যসূত্র-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ