টেরোরিজম দমনে মিডিয়ার সহযোগিতা পুলিশের জরুরী: মনিরুল ইসলাম

জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও দৃষ্টি আকর্ষণ করাটাই সন্ত্রাসবাদীদের কাছে মূখ্য। তারা ম্যাক্সিমাম মিডিয়া কভারেজকে টার্গেট করে আক্রমনের চেষ্টা করে থাকে। এক্ষেত্রে টেরোরিজম দমনে মিডিয়ার সহযোগিতা পুলিশের জরুরী বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মোঃ মনিরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।

শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া লাউঞ্জে ‘উগ্রবাদ রোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায়’ এমনটা জানিয়েছেন তিনি।

মিডিয়া প্রচার পাওয়া নিয়ে অতীতের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সম্পর্কে মনিরুল ইসলাম বলেন, ২০০৫ সালে তাদের উপস্থিতি মানুষের মধ্যে জানান দিতে দেশের ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল। তারা মিডিয়ার প্রয়োজন মনে করে কয়েকটি কারনে। যেমন- দায় স্বীকার, জনগণকে তাদের অস্তিত্ব জানানো, আতঙ্কিত করা, ত্রাস সৃষ্টি করাসহ তাদের মেসেজ পৌঁছে দিতে। মিডিয়ার মাধ্যমে তারা হামলার কারণ প্রচার করছে। প্রচারের মাধ্যমে তাদের সাপোর্টারদের কাছে মেসেজ পৌঁছে দেওয়া ও পটেনশিয়াল সাপোর্টারদের দলে ভেড়ানোর কাজ করছে। তারা টার্গেট হিসেবে সিম্বলিক ও আইকনিক টার্গেটকে বেছে নেয়। এক্ষেত্রে তারা নারীদেরও ব্যবহার করে থাকে।

তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসবাদীরা যেভাবে প্রচার চায় সেভাবে প্রচার না পেলে মিডিয়ার বিপক্ষে চলে যায়। এক্ষেত্রে তারা সংবাদকর্মীদেরও টার্গেট করে থাকে। আমরা মিডিয়ার ভূমিকাকে অনেক বড় করে দেখি। আমরা মানুষকে সতর্ক বা সচেতন করতে মিডিয়ার সহযোগিতা নিয়ে থাকি।

বিশ্বে যারা কাউন্টার টেরোরিজম নিয়ে কাজ করেন তারা মিডিয়ার বিভিন্ন প্রিকশনস দিয়েছেন উল্লেখ করে মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রিকশনসগুলোতে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে প্রচার বিমূখ থাকতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসীদের মিডিয়ায় প্রচারের মাধ্যমে ভিলেন হিসেবে উপস্থাপন করা যাতে কেউ উৎসাহিত না হয়, যেকোন সন্ত্রাসী দমন অভিযান লাইভ টেলিকাস্ট না করা, হোস্টেজ সিচুয়েশনে প্রচারের ক্ষেত্রে হোস্টেজদের পরিচয়সহ নানান কিছু প্রচার না করা এবং সন্ত্রাসবাদের বিপক্ষে জনমত গঠন করা। জনগণকে ইনফর্ম করতে মিডিয়ার দায়িত্ব রয়েছে। সেক্ষেত্রে সবকিছু বিবেচনা করতে হবে।

‘উগ্রবাদ রোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায়’ উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার নীতি নির্ধারক ব্যক্তিবর্গ।

এ সময় মতবিনিময় সভায় উগ্রবাদ রোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন এটিএন বাংলার সিইই জ ই মামুন, জিটিভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ৭১ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাবুসহ প্রমূখ।

সেন্টর ফর সোশ্যাল অ্যাডভোকেসি এন্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন (সিসার্ফ) আয়োজনে বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের অর্থায়নে ‘উগ্রবাদ রোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময় সভার সঞ্চালনা করেন সিসার্ফ প্রধান শবনম আজিম। তথ্য-ডিএমপি নিউজ