‘ডলারের দাম বৃদ্ধি,এটা কারসাজি’

টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘আমার মনে হয় এটা একটা কারসাজি।’

বৃহস্পতিবার,২৭ এপ্রিল সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত তান ভান খোয়া’র সঙ্গে বৈঠকের পর এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখজনক বিষয় হল…মে মাসে রোজা শুরু হয়ে যাবে। রোজার আগে আমার মনে হয় এটা (ডলারের দাম বৃদ্ধি) একটা কারসাজি। হঠাৎ ডলারের মূল্য…। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সাথে আমি দুই দিন কথা বলেছি, তিনি (গভর্নর) পদক্ষেপ নিয়েছেন। এরই মধ্যে দাম ৮৪ টাকা থেকে কমে ৮২ টাকা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ব্যাংক যে এলসি করেছে। এলসি কার্যকর হয় পরে। এরপর মূল্য পরিশোধ হয়। পত্রিকায় দেখলাম, একটা কোম্পানি ছোলার ডাল এনেছে, তাতে তাদের ৯ কোটি টাকার বেশি খরচ পড়েছে। এটা ভোক্তার উপর যাবে। আমাদের ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণ করতে হবে। সে কারণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

রিজার্ভ ৩২ মিলিয়ন ডলারের বেশি জানিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সেখানে আমরা যদি ২০০ মিলিয়ন ডলার বা ৪০০/৫০০ মিলিয়ন ডলার যদি আমরা ব্যাংকে দিয়ে দেই, তাতে আমাদের কোন ক্ষতি নেই। এই পদক্ষেপ বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রহণ করেছে।’ ‘ডলারের দাম স্বাভাবিক হবে। কারণ ডলারের দাম বাড়লে ভোজ্য তেলসহ আমদানিকৃত পণ্যের দামও বাড়বে। ব্যবসায়ীরাও লস দেবে না। ভোক্তাদের উপর পড়বে, জিনিসপত্রের দাম বাড়বে’ বলেন তোফায়েল।

আগামী ৩০ এপ্রিল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রোজার মাসে যাতে পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক থাকে, সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক অন্য ব্যাংকগুলোকে ডলার দিচ্ছে। যার কারণে (ডলারের দাম) কমে যাচ্ছে। আশা করি, আরও কমবে। ডলারের দাম বাড়ার কারণ অনুসন্ধান করেছি। যে কারণে বেড়েছে, সেটাকে সমাধান করার পদক্ষেপ নিয়েছি।’ এবারও রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।

অসাম্প্রদায়িক পথ থেকে আ’লীগ বিচ্যুত হবে না

হেফাজতে ইসলামীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যিনি প্রধানমন্ত্রী হন, তিনি সকলের প্রধানমন্ত্রী। তিনি আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী না। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। যে কোন দল প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করতে চায়, করতে পারে। তারা একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে, মাদরাসা শিক্ষা বা কওমি মাদরাসা শিক্ষা নিয়ে।’ তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেছেন যে, ১৫ লাখ ছাত্র-ছাত্রীকে মর্যাদা দিতে, তাদেরকে একটা পদ্ধতিতে নিয়ে আসার জন্য তিনি আলোচনা করে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘তবে মনে রাখবেন, আওয়ামী লীগ একটা অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক দল। এটাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নীতি। চারটি রাষ্ট্রীয় মূলনীতি, ৭২’র সংবিধান, তার পথ ধরেই আওয়ামী লীগ এগিয়ে চলেছে। সুতরাং অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক দলের পথ থেকে আওয়ামী লীগ কখনোই বিচ্যুত হবে না। এ ব্যাপারে আর কোন কথা বলার প্রয়োজন নেই।’

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/২৭এপ্রিল,২০১৭