ডাকসু নিয়ে রুলের রায় বুধবার

মঙ্গলবার রুলের শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের বেঞ্চ বুধবার রায়ের দিন ঠিক করে।
দুই যুগ ধরে ডাকসু নির্বাচন না হওয়ায় প্রশাসনকে বাধ্য করতে ২০১২ সালে এই রিট আবেদনটি করেছিলেন ২৫ শিক্ষার্থী।
তখন আদালত একটি রুল দিয়েছিল; ডাকসু নির্বাচন করার ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।

শিা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরের কাছে এই জবাব চাওয়া হয়েছিল।

সেই রুলে সে রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বুধবার আদালত আদেশের দিন ঠিক করেছে বলে রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ডাকসু নির্বাচনের পদপে নিতে প্রথমে ৩১ শিার্থীর পে ২০১২ সালের ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর ও ট্রেজারারকে লিগ্যাল নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই নোটিসের কোনো জবাব না দেওয়ায় ২৫ শিার্থীর পে রিট আবেদন করা হয়।
তিনি বলেন, তখন প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ৮ এপ্রিল হাই কোর্ট রুল জারি করেছিল।

রিট আবেদনে বলা হয়, ১৯৯৮ সালের ২৭ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ডাকসু নির্বাচনের পর এর সময়সীমা হবে এক বছর। পরবর্তী তিন মাস নির্বাচন না হলে বিদ্যমান কমিটি কাজ চালিয়ে যেতে পারবে। এ সিদ্ধান্তের পর ডাকসু ভেঙে দেওয়া হয়।

সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালে; তাতে ছাত্রদল থেকে আমানউল্লাহ আমান ভিপি এবং খায়রুল কবির খোকন জিএস নির্বাচিত হয়েছিলন।

ছাত্র সংগঠনগুলো থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়ে এলেও তারপর আর ডাকসু নির্বাচন হয়নি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার কেন্দ্র সিনেটে ছাত্রদের কোনো প্রতিনিধিত্ব থাকছে না।

এদিকে একই বিষয়ে আরেকটি রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৯ মার্চ রুল জারি করেছিল বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং গত ২৬ বছরে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল রুলে।

চার সপ্তাহের মধ্যে শিা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর, রেজিস্ট্রারসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।

এ রিট আবেদনটি দায়ের করেছিলেন ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ, জিএস মোশতাক হোসেন ও বর্তমান শিক্ষার্থী জাফরুল হাসান নাদিম।

এই রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাই কোর্ট বেঞ্চেই বুধবার এ রুলের চূড়ান্ত শুনানি হবে।”
আজকের বাজার: ওএফ/ ১৬ জানুয়ারি ২০১৮