ডাবল সেঞ্চুরি না পেয়েও সন্তুষ্ট মুমিনুল

নিজেকে কিছুটা অভাগা বলতেই পারেন মুমিনুল হক। ডাবল সেঞ্চুরির খুব কাছে এসেও যে মিস করলেন। কিন্তু তারপরও দারুণ সন্তুষ্ট এ ক্রিকেটার। কারণ চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করা এ সেঞ্চুরি যে ভিন্ন রকম তৃপ্তি এনে দিয়েছে তাকে। আর তাতেই খুশি বাংলাদেশের ব্র্যাডম্যান খ্যাত এ ব্যাটসম্যান।

টেস্টের প্রথম দিনেই ১৭৫ রানে দিন শেষ করেছিলেন মুমিনুল। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই আউট হয়ে যান। বৃহস্পতিবার মাত্র ১ রান যোগ করতে পেরেছেন। ডাবল সেঞ্চুরির এতো কাছে এসেও তা করতে না পাড়ায় কোন আক্ষেপ নেই মুমিনুলের, ‘অবশ্যই সন্তুষ্ট। আপনি যখনই একটা বড় ইনিংস খেলবেন… আমি যদি বলি আমি সন্তুষ্ট না তাহলে ভুল বলা হবে। আমি যতটুকু খেলেছি আমার কাছে ভালো লেগেছে। যতটুকু হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ, হয়তো আরেকটা সেশন খেলতে পারলে ভালো লাগত।’

এদিন মুমিনুলের আউটে কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়া পেয়েছিলেন হেরাথ। আর দুর্ভাগ্য মুমিনুলের। হেরাথের লেগ স্টাম্পের বলটি ঘোরাতে গিয়ে শর্ট লেগে ক্যাচ তুলে দেন মুমিনুল। আর তা কাঁধে লেগে হাতে পড়ে কুসল মেন্ডিসের। তবে ভাগ্যকে নয় নিজেকেই দায়ি করছেন মুমিনুল, ‘না, এরকম বলব না। হয়তো এমন বল হতেই পারে, আমি একটু বেশি ক্যাজুয়াল ছিলাম। আমার কাছে এটাই মনে হয়’।

ডাবল সেঞ্চুরি হয়নি মুমিনুলের। কিন্তু এ আক্ষেপের চেয়ে দলগত রানের জন্য বেশি খারাপ লাগছে তার। আর একটা সেশন ব্যাট করতে পারলে নিজের ডাবলের পাশাপাশি দলের স্কোর ৬০০ রানের বেশি করতে পারতেন বলে মনে করেন মুমিনুল, ‘আমার মনে হয় আমার আউটই ঝামেলা ছিল। এসব উইকেটে আপনি যখন ১৭০ করবেন সবাই আশা করবে আপনি আরও এক দুই সেশন ব্যাট করবেন। আমি যদি এক সেশন ব্যাট করতে পারতাম তাহলে ৬০০এর বেশি হয়ে যেত।’

তবে এ সেঞ্চুরিতে দীর্ঘদিনের হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন মুমিনুল। প্রায় চার বছর পর তিন অঙ্কের কোটা ছুঁয়েছেন তিনি। এর মাঝে তাকে দল থেকেও বাদ পড়তে হয়েছে সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের রোষানলে পড়ে। আর সেঞ্চুরিটা করলেন সেই হাথুরুর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই।

আজকের বাজার : সালি / ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮