ডিএসই’র পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান-এর পিতার ইন্তেকাল

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান-এর পিতা ও ডিএসই’র সাবেক কাউন্সিলর ও সদস্য হাজী মোহাম্মদ আলী গতকাল (২১ এপ্রিল) সকাল ১০ ঘটিকায় নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নানিল্লাহে ——রাজেউন)৷ মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর৷ তিনি দীর্ঘদিন যাবত বার্ধক্যজনীত রোগে ভুগছিলেন৷ তাঁর মৃত্যুতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুসুর রহমান পরিচালনা পর্যদের পক্ষ থেকে এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক ডিএসই-র ব্যবস্থাপনার পক্ষ থেকে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন৷

হাজী মোহাম্মদ আলী দেশের পুঁজিবাজারের এক সু-পরিচিত ব্যক্তি ছিলেন৷ যিনি ৬০ এর দশকে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যপদ লাভ করেন৷ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় স্টক এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়৷ স্বাধীনতা যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে পুনরায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ যাএা শুরু করলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রথম পরিচালনা পর্ষদের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন ঐ সময় হাজী মোহাম্মদ আলী সহ ১০-১২ জন ব্রোকার রোজ হাজির থেকে অল্প সংখ্যক কোম্পানি এবং অল্প সংখ্যক ব্রোকার সমঝোতার ভিওিতে হাতে লিখে লেনদেন কার্যক্রম সম্পন্ন করতেন৷ পরবতী সময়ে আরো বেশ কয়েকবার মরহুম হাজী মোহাম্মদ আলী ডিএসইর কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷

দেশ বিভাগের পূর্ববর্তী সময়ে যখন খুব কম বাংলাদেশী শিল্প প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসেন তখন তিনি বাঙালি হিসেবে জুট এবং টেক্সটাইল শিল্পের একজন অন্যতম উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন৷ তিনি শমসের জুট মিল ও মদিনা জুট মিলের চেয়ারম্যান ছিলেন৷

মানব সেবায় সক্রিয় মরহুম হাজী মোহাম্মদ আলী বেশ কয়েকটি মসজিদ, মাদ্রাসা ও স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন৷ তিনি ৫ ছেলে ও তিন মেয়ের গর্বিত বাবা৷ তার পাঁচ ছেলেই (জাহান সিকিউরিটিজ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডিএসইর পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান, হাজী মোহাম্মদ আলী সিকিউরিটিজ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল মাহমুদ, নবিউল করিম সিকিউরিটিজ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ নবিউল করিম, আল-হাজা জাহানারা সিকিউরিটিজ লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোফায়েল মাহমুদ, সোরহাব সিকিউরিটিজ এন্ড ট্রেড লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সোরহাব হোসেন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সক্রিয় ট্রেকহোল্ডার হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত অত্যন্ত সুনামের সাথে শেয়ার ব্যবস্যা করে আসছেন৷ এছাড়া তারা জুট ও টেক্সটাইল শিল্পের সাথে জড়িত থেকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন৷

মরহুমের নামাজের জানাযা ঐ দিনই (২১ এপ্রিল ২০২০ তারিখে) বাদ আছর নরসিংদি মরহুমের প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হওয়ার পর তাঁকে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়৷