ডিসেম্বরের মধ্যে দক্ষিণ সিটিকে জঞ্জালমুক্ত করা হবে : মেয়র তাপস

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিকে তারের জঞ্জালমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ দুপুরে ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজে গভর্নিং বডির সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘আমরা বহির্বিশ্বে গিয়ে দেখি, আকাশের দিকে তাকালে কোন বাঁধা নেই। কিন্তু ঢাকা শহরে যখন আসি তখন দেখি শুধু বাঁধা আর বাঁধা, তারের জঞ্জাল। বহির্বিশ্বে গিয়ে আমরা তার সৌন্দর্য উপভোগ করে বলি, আহা কি সুন্দর! ঢাকায় এসে বলি, এত কেন জঞ্জাল আর জঞ্জাল! উপরে আবর্জনা, নিচেও আবর্জনা। তাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন প্রশাসনিক সংস্কার করছে। প্রশাসনিক সংস্কারের মাধ্যমে সংস্থার আবর্জনা, জলাবদ্ধতার আবর্জনা, বর্জ্যের আবর্জনাসহ উপরের দিকের তারের আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’
তিনি বলেন, সকল তার অপসারণ করব। সেটা কোন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের হোক বা কোন সরকারি সংস্থার হোক। পর্যায়ক্রমে সকল তার অপসারণ করা হবে। শুধু আবশ্যকীয় তার ছাড়া সকল তার অপসারণ করব। এই কার্যক্রম চলমান আছে, চলমান থাকবে।
আজকেও ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, এখানে শিথিলতার কোন সুযোগ নেই। আমাদের লক্ষ্য আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই তারের জঞ্জালমুক্ত একটি ঢাকা নগরী ঢাকাবাসীকে উপহার দেয়া।
ইতোমধ্যে সড়ক ও উন্মুক্ত স্থান থেকে বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকাবাসী এরই মাঝে সেই কার্যক্রমের সুফল পাওয়া আরম্ভ করেছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি নির্ধারিত স্থানে বা অন্তবর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে (এসটিএস) আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মিরা বাসাবাড়ি ও গৃহস্থালি থেকে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে সব বর্জ্য নিয়ে আসছে। রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে সেখান থেকে সব বর্জ্য কেন্দ্রীয় ভাগাড়ে নিয়ে যাচ্ছে ।
উন্মুক্ত স্থানে আর বর্জ্য থাকবে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘ঢাকাবাসীর কাছে আবারও আহ্বান জানাই দিনের বেলায় রাস্তায় উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলবেন না। আপনারা দিনের সকল বর্জ্য সংরক্ষণ করে রাখুন, সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে তা প্রাথমিক বর্জ্য সেবা সংগ্রহ সেবাদানকারী (প্রাইমারি ওয়েস্ট কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডার- পিসিএসপি) প্রতিষ্ঠানের পরিচ্ছন্নতাকর্মির কাছে হস্তান্তর করুন। ৭৫টি ওয়ার্ডে ৭৫টি পিসিএসপিকে আমরা নতুন করে নিবন্ধন দিয়েছি, নিয়োগ দিয়েছি। তারা ঈদ-উল-আযহার পর থেকে কার্যক্রম আরম্ভ করেছে। আর দিনের বেলা কেউ রাস্তায় বা উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেললে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।’
নারী জাগরণ ও অগ্রগতিতে ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করতে পারে জানিয়ে ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ নতুন আরও কয়েকটি বিষয়ে মাস্টার্স এবং ছাত্রীদের আবাসিক সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে বলে ডিএসসিসি মেয়র জানান।