‘ডিসেম্বরের মধ্যে সংস্কারকাজ, অন্যথায় কারখানা বন্ধ’

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই ৭৫৫টি পোশাক কারখানার সংস্কারকাজ শেষ করতে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে শেষ না করলে কারখানাগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক।

মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর দিলকুশায় হোটেল পূর্বাণীতে ‘কারখানার সংস্কারকাজ সমন্বয়’বিষয়ক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন বা সংস্কারকাজ সমন্বয় সেলের (আরসিসি) কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে ৩০টির বেশি সভা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৭৫৫টি কারখানার সংস্কারকাজ সম্পন্ন করতে পারেনি। তাদের চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সংস্কারকাজ সম্পন্ন না করলে তাদের কারখানা বন্ধ করে দেয়া হবে।’

মুজিবুল হক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রেতাজোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের মে মাসে। কারখানা সংস্কার তদারকিতে তাদের ছয় মাস সময় দেয়া হয়েছে। তারা নতুন করে সময় চাচ্ছে। কিন্তু আমরা আর তাদের সময় বাড়াব না।

আরসিসি গঠন করা হয়েছে। এখন আমরাই পরবর্তীতে কারখানা সংস্কারকাজের তদারকি করতে পারব। কারণ অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স আমাদের প্রকৌশলী দিয়েই কাজ করিয়েছে।’

‘ইতোমধ্যে আরসিসির সক্ষমতা বাড়াতে ৬০ প্রকৌশলী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম শেষ হয়েছে। শিগগিরই আরও ৪০ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। এছাড়া বিভিন্ন সংস্থার কর্মীসহ মোট ১৩০ জন এখানে কাজ করবে।’

অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের অনুপস্থিতিতে রানা প্লাজার মতো দুর্ঘটনা হতে পারে- বিদেশিদের এমন আশঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে  শ্রম প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘আমাদের কারখানার সংস্কারকাজের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স, তারা নিজেরাই বলেছে, আমাদের ৯৬ থেকে ৯৯ শতাংশ কারখানার সংস্কারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। গত পাঁচ বছরে রানা প্লাজার মতো দুর্ঘটনা ঘটেনি।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন,‘চ্যালেঞ্জ করছি, আগামীতে রানা প্লাজার মতো দুর্ঘটনা আর ঘটবে না’।

এসএম/