ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৬ জনের মৃত্যু

ঢাকা, রংপুর, দিনাজপুর ও চাঁদপুর জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে সোমবার রাতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ইতালি প্রবাসী লিপি বেগম (৩৪) মারা যান বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক জসিমউদ্দিন খান।

সরদার আব্দুল সাত্তার তরুনের স্ত্রী লিপিকে শুক্রবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

সাত্তারের বড় বোন ডা. নুরুন্নাহার জানান, ১০ দিন আগে দুই সন্তানসহ ইতালি থেকে দেশে আসেন ওই দম্পতি। তারা রাজধানীর কলাবাগান এলাকার একটি বাসায় ওঠেন।

তিনি জানান, ঢাকায় আসার পরপরই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন তার ভাই সাত্তার। তার জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর গত ২৮ জুলাই লিপিরও ডেঙ্গু ধরা পড়ে। স্বামী অসুস্থ হয়ে বাসায় থাকায় স্বামীর সাথে তিনি বাসায় থাকার সিদ্ধান্ত নেন।

এদিকে চাঁদুপর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার মনোয়ারা বেগম (৭৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সকাল ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে জানিয়েছেন ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আব্দুল খান।

এছাড়া ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হাবিবুর রহমান (২১) দুপুর সোয়া ২টায় ঢামেকের আইসিউইতে মারা যান।

হাবিবুরের মামা আনোয়ার হোসাইন জানান, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি হন হাবিবুর। শনিবার তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।

ইউএনবির চাঁদপুর প্রতিনিধি জানিয়েছে, মতলব দক্ষিণ উপজেলার মিজানুর রহমান ঢালীর মেয়ে মদিনা আক্তার (৭) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সোমবার মধ্য রাতে ধানমণ্ডি জেনারেল অ্যান্ড কিডনি হসপিটালে মারা গেছে।

গত ৩ আগস্ট ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় মদিনা। পরে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়।

সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে তিন বছরের এক শিশু মারা যায়।

শিশু রিয়ানা গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার আশরাফুল ইসলামের মেয়ে।

হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. সাইফুজ্জামান জানান, গত ৩ আগস্ট ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল শিশুটি। প্রায় চার দিন চিকিৎসাধীন থেকে আজ সকাল ৮টার দিকে মারা যায় সে।

সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে ফেরার পরে তার ডেঙ্গু ধরা পড়ে বলেও জানান ডা. সাইফুজ্জামান।

দিনাজপুরে ভোরের দিকে এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রবিউল ইসলাম (১৭) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়।

রবিউল ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার নেকমারাদ গ্রামের নয়ন ইসলামের ছেলে।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. খায়রুল কবির জানান, রবিউল গত ৩০ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। পরে চিকিৎসাধানীর অবস্থায় আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সে মারা যায়।

তিনি জানান, বর্তমানে ৪৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং ৮৬ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তাদের সবাই ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে এসেছে।

আজকের বাজার/এমএইচ