ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ৩ স্তরে মনিটরিংয়ের পরামর্শ কলকাতার ডেপুটি মেয়রের

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিন স্তরে মনিটরিংয়ের পরামর্শ দিয়েছেন কলকাতা সিটি করপোরেশনের ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। তিনি প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রতি সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অতীন ঘোষ ওয়ার্ড লেভেল, বোরো বা জোন লেভেল এবং কেন্দ্রীয় লেভেল এই তিন স্তরে মনিটরিংয়ের পরামর্শ দেন।

সোমবার, ৫ আগস্ট অতীন ঘোষ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে এসব পরামর্শ দেন।

কনফারেন্সে কলকাতার ডেপুটি মেয়র বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলার দুটি ধাপ। প্রথমটি- প্রিভেনটিভ (প্রতিরোধমূলক), দ্বিতীয়টি- কিউরেটিভ (প্রতিকারমূলক)। সবচেয়ে বেশি কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া।

কলকাতা সিটি করপোরেশন উদ্যোগের উদাহরণ দিয়ে অতীন বলেন, এডিস মশার প্রজননস্থল খুঁজে বের করে ধ্বংস করে দেই আমরা। এর জন্য তিন স্তর থেকে মনিটরিং করা হয়।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে সঠিক ধারণা দরকার। আমাদের ১৪৪টি ওয়ার্ড আছে। প্রতি ওয়ার্ডে একজন কর্মীর কাজ হচ্ছে প্রতিদিনের তথ্য নেয়া। ওই কর্মীরা হাসপাতাল থেকে নতুন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর তথ্য নিয়ে তার বাসায় গিয়ে এডিস মশার প্রজননস্থল খোঁজেন এবং পলে সেটি ধ্বংস করা হয়। এভাবে কোথায় ডেঙ্গুর প্রজননস্থল আছে তার চিত্র পাই আমরা। ওই হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হয়।

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ত করার প্রতিও জোর দেন কলকাতা সিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক মুখ্য পরামর্শক ডা. তপন মুখার্জি। তিনি বলেন, প্রত্যেক ওয়ার্ডে আমাদের স্বাস্থ্য, বর্জ্য এবং ভেক্টর কন্ট্রোল বিভাগের প্রতিনিধিরা প্রত্যেকদিনের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখেন, এখন এবং আগামীকাল কী করতে হবে। সেই প্রতিবেদন প্রত্যেকদিন প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে দিয়ে তাকে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে তা বলা হয়। পরে কাউন্সিলর প্রতিবেদন অনুযায়ী সেসব করছেন কিনা, তা ব্যুরো বা জোন লেভেল এবং কেন্দ্রীয় লেভেল থেকে মনিটরিং করা হয়।

আজকের বাজার/এমএইচ