ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চিরুনী অভিযানসহ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন কর্মসূচি

রাজধানীতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনতে চিরুনী অভিযানসহ বিভিন্ন উদ্যোগ ও কর্মসূচি পালন করছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
এরমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) আগামীকাল থেকে মাসব্যাপী চিরুনি অভিযান চালাবে। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি শুরু করেছে। এ কর্মসূচি চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
ডিএনসিসি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা এএসএম মামুন জানান, এডিস মশা নির্মূলের লক্ষ্যে ঢাকা ডিএনসিসি ‘ওয়ার্ড ভিত্তিক এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসকরণ ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের’ (চিরুনী অভিযান) উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। অভিযানটি আগামীকাল ১৯ নম্বর ওয়ার্ড (গুলশান ও বনানী এলাকা) থেকে শুরু হবে। এ ওয়ার্ডকে ১০টি ব্লকে ভাগ করে প্রতিটি ব্লককে ১০টি সাব-ব্লকে ভাগ করা হয়। প্রতিদিন ১টি ব্লকের ১০টি সাব-ব্লকের প্রতিটি বাসা-বাড়ি, প্রতিষ্ঠান, খোলা জায়গা ইত্যাদি সম্পূণরূপে পরিষ্কার ও এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করা হবে। এভাবে ১০ দিনে এ ওয়ার্ডটি সম্পূণরূপে পরিষ্কার এবং এডিস মশার লার্ভা নির্মূল করা হবে। ডিএনসিসির অন্যান্য ওয়ার্ডেও পর্যায়ক্রমে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আগামীকাল সকাল ১০টায় গুলশানস্থ ডা. ফজলে রাব্বী পার্ক (পুলিশ প্লাজার বিপরীত দিকে) থেকে এই কর্মসূচি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম অভিযানে উপস্থিত থেকে নেতৃত্ব দেবেন।
সিটি কর্পোরেশন সূত্র জানায়, ডিএনসিসি চিরুনি অভিযান পরিচালনা করতে প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০ ভাগে ভাগ করে মনিটরিং কাজ করবে। আর এ কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে প্রতি ওয়ার্ডে ৩০ জন করে ৫৪টি ওয়ার্ডে ১ হাজার ৬২০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ করেছে। মাস্টাররোলে নিয়োগে এসব কর্মী আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাজ করবে।
ডিএসসিসি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় বাসসকে জানান, নিয়মিত কর্মসূচি হিসেবে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমকে আরো জোরালো করবে। আর প্রতি ওয়ার্ডে গঠিত ১০ জনের পরিচ্ছন্ন দল দৈনিক ৫০টি করে বাসাবাড়িতে ঢুকে মশার উৎপাদন স্থান ধ্বংস করবে। একই সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটিও সক্রিয়ভাবে কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে নগরবাসীকে সচেতন করার চেষ্টা করবে। এত কিছুর পরও যারা সচেতন হচ্ছেন না, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ডিএসসিসি। আর এ কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ডিএসসিসি ঢাকা জেলা প্রশাসন থেকে নেয়া ৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট এবং ডিএসসিসির পাঁচ আঞ্চলিক কর্মকর্তা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন।