ঢল ও বৃষ্টি কম হওয়ায় সুনামগঞ্জে বন্যার পানি কমছে

ঢল ও বৃষ্টি কম হওয়ায় সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। বুধবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৭.১৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । ভারি বৃষ্টিপাত ও ঢলের পানি কম হওয়ায় সুনামগঞ্জে বন্যার পানি কমছে এবং ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা যাদুকাটার পানি বিপদ সীমার ৬.৫৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত ভাটির উপজেলা দিরাইয়ে ৬৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং ছাতক উপজেলার নিকট সুরমা নদীতে বিপদমীমার ১১ সেন্টমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার বেশিরভাগ এলাকা বন্যা কবলিত হয়েছিল। উঁচু এলাকায় হাটু সমান পানি হয়েছিল। নিচু এলাকার ঘরবাড়িতে কোমর থেকে গলা সমান পানি ছিল কোন কোন জায়গাতে। জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ছাড়া অন্য সকল উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
জামালগঞ্জ বাদে জেলার সকল উপজেলার সাথে জেলা সদরের যোগাযোগ আখেন স্বাভাবিক হয়েছেগত ২১ শেজুন জামালগঞ্জ উপজেলার ভীম খালি আউিনিয়নের ইসলাসপুর গ্রামের নিকট জামালগঞ্জ সুনামগঞ্জ সড়ক বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় গতকাল সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক আ. আহাদ সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে এর মেরামতের জন্য এলজিইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন বন্যায় সুনামগঞ্জ জেলায় এলজিইডির ২৫০শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জানান।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪০ মিলিমিটার এরআগে গত ২৮ জুন বৃষ্টিপাত হয়েছিল ২১৩ মিলিমিটার। এর চেয়েও অনেক বেশি বৃষ্টি হয়েছিল উজানের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জিতে। ভারী বর্ষণ ও উজানের পানিতে জেলাজুড়ে বন্যা দেখা দিয়েছিল। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছিল সীমান্ত উপজেলা সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক, দোয়ারা, তাহিরপুর ও বিশ^ম্ভরপুর উপজেলাবাসী। পাহাড়ী ঢলে গ্রামের পর গ্রাম ডুবে যায়, পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল লাখ লাখ মানুষ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বন্যাদুর্গতদের সরকারি নানা সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়ে বলেন, পানিবন্দি মানুষজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। জেলার ১১ উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনকে আশ্রয় কেন্দ্র করা হয়েছিল। বন্যা কবলিত এলাকায় ৪১০ মেট্রিকটন চাল এবং নগদ ২৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৪ হাজার ৭৫২ টি পরিবারের জন্য শিশু খাদ্য দেয়া হয়েছে উপজেলায় উপজেলায়। এলাকায় এলাকায় মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে বন্যা আক্রান্তদের আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলা হচ্ছে।