মুদ্রণ শিল্পের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, মেশিনারিজ, কাগজ, কালি, স্পেয়ার্স ও নানাবিধ যন্ত্রপাতি নিয়ে আজ থেকে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী প্রিন্টেক বাংলাদেশ ২০১৯ শুরু হয়েছে ।
রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন সিটি বসুন্ধরায় আস্ক ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন্স প্রাইভেট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির (পিআইএবি) যৌথ উদ্যোগে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে সকল প্রকার প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং শিল্প সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক পণ্য ও প্রযুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত বিনামূল্যে সবার জন্য প্রদর্শনীটি উন্মুক্ত থাকবে।
এতে একইসঙ্গে আয়োজিত “স্ক্রিনটেক্স বাংলাদেশ ২০১৯” এ স্ক্রিন, ডিজিটাল, সাব্লিমেশন ও টেক্সটাইল প্রিন্টিং এর উপর প্রি-প্রেস, ইন-প্রেস, পোস্ট প্রেস, ফিনিশিং, কনভার্টিং, সাইনেজ, স্ক্রিন, করুগেশন, কাগজ, প্যাকেজিং, সফটওয়্যার, কালি, মেশিন স্পেয়ার্স, কেমিক্যাল সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হচ্ছে।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, “ এটি একটি শুভ উদ্যোগ, এখানে ভারতসহ বেশ কয়টি দেশ অংশগ্রহণ করেছে। মুদ্রণ শিল্প এখন শুধুমাত্র বই ছাপানোর কাজই করে না, আরো অনেক কাজের সাথে এ শিল্পের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্পের সাথে।”
তিনি বলেন, বিদেশি রপ্তানিকৃত পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আসে গার্মেন্টস শিল্প থেকে। সততা ও নিষ্ঠার সাথে মুদ্রণ শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করলে, এ খাত থেকেও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। এ শিল্পের উত্তোরত্তর সাফল্য অর্জনে এ ধরনের আর্ন্তজাতিক প্রদর্শনী অনেক ইতিবাচক ভুমিকা রাখবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান শহিদ সেরনিয়াবাত, সাধারণ সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, সম্পাদক রাকেশ সাঙ্গারি, আস্ক ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন্স লিমিটেডের পরিচালক নন্দ গোপাল।
প্রদর্শনীতে ইন্ডিয়ান প্রিন্টিং প্যাকেজিং অ্যান্ড অ্যালায়েড মেশিনারি মেনুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন (আইপিএএমএ) এবং স্ক্রিন প্রিন্টারর্স এসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (এসপিআইএ) থেকে প্রায় ৬০ টি প্রতিষ্ঠান এই প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে। সেই সাথে চীন এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও আছে।
