তামাবিল দিয়ে ভারতীয় কয়লা আমদানি বন্ধ

ভারতের আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে বুধবার থেকে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে।

সিলেট কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সভাপতি চন্দন সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি) ভারতের আদালতে কোয়ারী থেকে কয়লা উত্তোলনের ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হচ্ছে না মর্মে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এরপর বেশ কয়েক দফা বাংলাদেশে কয়লা রপ্তানি বন্ধ থাকে। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩১ মে থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কয়লা রপ্তানি বন্ধ ছিল।

সূত্র আরও জানায়, আদালতের রায়ে ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে আবারও কয়লা রপ্তানি শুরু করে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা। ২৫ দিন কয়লা রপ্তানি চালু থাকার পর আবারও আদালতের নির্দেশে বুধবার থেকে রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে রাস্তায় কয়লা লোড হওয়া গাড়িগুলো বাংলাদেশে রপ্তানির সুযোগ চেয়ে আদালতে রিট করেছেন ভারতের রপ্তানিকারকরা।

চন্দন সাহা জানান, ভারতের আদালতে বুধবার থেকে কয়লা মাইনিংয়ের উপর দায়েরকৃত মামলার শুনানি ছিল। শুনানিতে ভারতীয় আদালত আবারও ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কয়লা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তার ফলশ্রুতিতে বুধবার থেকে কয়লা রপ্তানি বন্ধ করে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা।

শুল্ক স্টেশন সূত্র জানায়, এতে করে প্রতিদিন সরকারের মোটা অংকের টাকার রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে।

এদিকে তামাবিল শুল্ক স্টেশনে কয়লা লোড-আনলোড কাজে নিয়োজিত ৪-৫ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।

তামাবিল কয়লা আমাদানীকারক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস উদ্দিন লিপু জানান, ভারত থেকে কয়লা আমদানির জন্য গত ১৫ দিনে ব্যবসায়ারী প্রায় ২০০ কোটি টাকার বেশি এলসি করেছেন। এর মধ্যে অনেক আমদানিকারক ব্যাংক লোন নিয়ে আমদানি ব্যবসা করায় প্রতিদিনই ব্যাংকের সুদ গুণতে হচ্ছে।

এব্যাপারে তামাবিল স্থল শুল্ক স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার সকাল থেকে কয়লা রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা। এ ব্যাপারে তারা আমাদেরকে কোনো চিঠি দেয়নি। তবে কবে থেকে আবার আমদানি শুরু হবে এ ব্যাপারে সঠিক কিছু বলতে পারছি না।’

তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ