তিন পার্বত্য জেলা ও কক্সবাজার ট্যুরিজম খাত উন্নয়ন হলে দেশের চেহারা পাল্টে যাবে : বিডা চেয়ারম্যান

বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে তিন পার্বত্য জেলা ও কক্সবাজারে সমন্বিত ট্যুরিজম খাতের উন্নয়ন করা হলে দেশের চেহারা পাল্টে যাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম।

তিনি আজ সকালে বন্দর নগরীর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বিভাগীয় বিনিয়োগ ও ব্যবসায় উন্নয়ন সহায়তা কমিটির সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান।

দেশে বেসরকারি খাতে স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা, বিনিয়োগ সহায়তা প্রদান এবং বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রশাসন।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে পর্যটন খাত উন্নয়ন করেছে। বিদেশিরা চান নিরাপত্তা ও পলিসি সাপোর্ট। এ দুটো বিষয় নিশ্চিত করা গেলে প্রচুর বিদেশি পর্যটক বাংলাদেশে আসবেন।

বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্ব ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নুরুল আলম নিজামীর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শঙ্কর রঞ্জন সাহা, স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক দীপক চক্রবর্ত্তী প্রমূখ।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের ফরেন ইনভেস্টমেন্টের চেয়ে লোকাল ইনভেস্টমেন্ট বেশি হওয়ায় অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত। তবে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট দরকার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম, এখানেই তো শিল্পের সূতিকাগার। আমদানি-রফতানির ৯০ ভাগ এ বন্দর দিয়ে হয়। দেশের প্রধান শিল্প গার্মেন্টস রফতানি হয় এ বন্দর দিয়ে। সব মিলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চট্টগ্রাম বন্দরের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। তবে শীর্ষ বন্দরের তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান আরও এগিয়ে আনতে হবে। বন্দরের লিড টাইম কমাতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর অর্থনীতির হার্ডলাইন। এটি দ্রুত ১০০ শীর্ষ বন্দরের মধ্যে অনেক ধাপ এগিয়ে এসেছে। ৩০ হাজার একর জমিতে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরী, মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ চলছে। ডেল্টা প্ল্যান অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। সব মিলে আমরা অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান