তুংহাই নিটিং ও সিএনএ টেক্সটাইলের কারখানা পরিদর্শন করতে পারেনি ডিএসই

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তুংহাই নিটিং এবং সিএনএ টেক্সটাইলের কারখানা এবং প্রধান কার্যালয় বন্ধ থাকায় ডিএসই পরিদর্শক দল কোম্পানি দুটি পরিদর্শন করতে পারেনি।

ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, তুংহাই নিটিং এবং সিএনএ টেক্সটাইলের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এমনকি তাদের প্রধান কার্যালয় বন্ধ পাওয়া যায়। আর এ কারণে ডিএসই’র পরিদর্শক দল পরিদর্শন করতে পারেনি।

অভিযোগ আছে মালিকপক্ষের মতের মিল না হওয়ার জেরে এই দুই কোম্পানির উৎপাদন এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

এদের মধ্যে, তুংহাই নিটিং পুঁজিবাজারে তারিকাভুক্ত হয় ২০১৪ সালে। তালিকাভুক্তির পর প্রতিষ্ঠানটি ২০১৪ সালে ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড, ২০১৬ সালে ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। আর সর্বশেষ ২০১৭ সলে তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারী -মার্চ, ২০১৭) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর আর কোন আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি । সেইসাথে ২০১৭ সালে এজিএম করতে ব্যর্থ হওয়ায় “এ” ক্যাটাগরি থেকে নামিয়ে দেয়া হয় “ জেড ” ক্যাটাগরিতে এবং ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারী থেকে প্রতিষ্ঠনটির “ জেড ” ক্যাটাগরিতে লেনদেন শুরু হয়।  প্রতিষ্ঠানটির ধারণকৃত শেয়ারের ৩০.০৪ শতাংশ স্পন্সর ডিরেক্টরদের কাছে, ইনস্টিটিউটের কাছে ৫.৬২ শতাংশ আর বাকি ৬৪.৩৪ শতাংশ রয়েছে সাধারন বিনিয়োগকারীর কাছে।

অন্যদিকে সিএনএ টেক্সটাইল পুঁজিবাজারে তারিকাভুক্ত হয় ২০১৫ সালে। তালিকাভুক্তির পর প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সালে ১২ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড, ২০১৬ সালে ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। আর সর্বশেষ ২০১৭ সলে তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারী -মার্চ, ২০১৭) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর আর কোন আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি । সেইসাথে ২০১৭ সালে ডিভিডেন্ড দিতে ব্যর্থ হওয়ায় “এ” ক্যাটাগরি থেকে নামিয়ে দেয়া হয় “ জেড ” ক্যাটাগরিতে এবং ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর থেকে প্রতিষ্ঠনটির “ জেড ” ক্যাটাগরিতে লেনদেন শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটির ধারণকৃত শেয়ারের ২২.১৪ শতাংশ স্পন্সর ডিরেক্টরদের কাছে, ইনস্টিটিউটের কাছে ১৫.৬৭ শতাংশ আর বাকি ৬২.১৯ শতাংশ রয়েছে সাধারন বিনিয়োগকারীর কাছে।

উল্লেখ্য, ১ মে ২০১৭ সাল থেকে সিএনএ টেক্সটাইলের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তুংহাই নিটিং এবং সিএনএ টেক্সটাইল বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে।

 

আজকের বাজার/মিথিলা