‘তৌহিদি জনতা’র ৬ দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক যুবকের হ্যাক করা ফেসবুক আইডি থেকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ‘ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট’ নিয়ে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা সদরে রণক্ষেত্রে ঘটনায় ‘তৌহিদি জনতা’র ছয় দফা দাবি মেনে নিয়েছে প্রশাসন।

দাবি মেনে নেওয়ায় ‘সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে সোমবার বেলা ১১টায় ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশ বাতিল করা হয়।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসে ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক জেলা ‘ঈমান আক্বিদা সংরক্ষণ কমিটির’ সভাপতি মাওলানা বশির উদ্দিন বলেন, ‘ভোলার নেতা তোফায়েল আহমেদ এমপি ও ডিসি মহোদয়ের অনুরোধে আমাদের সমাবেশ স্থগিত করেছি। তবে আমরা ৬ দফা দাবি দিয়েছি, তা আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে। না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দেব।’

ছয় দফা দাবি হলো:

১. জেলা ও থানা থেকে এসপি এবং ওসিদের প্রত্যাহার করতে হবে

২. ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করার অনুমতি দিতে হবে

৩. আহত লোকজনের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে

৪. নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিতে হবে

৫. অভিযুক্ত বিপ্লব চন্দ্র শুভর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের ফাঁসি দিতে হবে এবং

৬. গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিদের মুক্তি দিতে হবে

এই দাবি প্রশাসন মেনে নিয়েছে। তারা কেবল বলেছে, ফাঁসি নয়, যেই অপরাধী শনাক্ত হোক না কেন, প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার শাস্তি হবে।

উল্লেখ্য, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা সদরে রোববার সকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিতে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে৷ এই ঘটনায় অর্ধশতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে৷

নিহতরা হলেন- বোরহানউদ্দিন উপজেলার মহিউদ্দিন পাটওয়ারীর মাদ্রাসাছাত্র মাহবুব (১৪), উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দেলোয়ার হোসেনের কলেজ পড়ুয়া ছেলে শাহিন (২৩), বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাহফুজ (৪৫) এবং মনপুরা হাজিরহাট এলাকার বাসিন্দা মিজান (৪০)।

রোববার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাবের টহল জোরদার করার পর বিকালেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজকের বাজার/এমএইচ