থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা জারি ॥ নেতাকর্মীসহ আটক ২০

থাইল্যান্ডে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে নেতাকর্মীসহ অন্তত ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।

রাজতন্ত্রের সংস্কার এবং প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুথ চান-ওচার পদত্যাগের দাবিতে দেশটিতে গত তিন মাস ধরে ছাত্রদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ চলছে। বুধবার রাজধানী ব্যাংককে হাজার হাজার লোক বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেয়। তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে ক্যাম্প স্থাপন করে।

এ অবস্থায় সরকার পাঁচ কিংবা তার অধিক লোকের সমাবেশ নিষিদ্ধ এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি এমন খবর প্রকাশ কিংবা অনলাইন ম্যাসেজের ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ একটি ডিক্রি জারি করেছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ ছিল খুবই প্রয়োজনীয়।

একাধিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ গণতন্ত্রপন্থী অন্তত ২০ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
জরুরি অবস্থার আওতায় পুলিশ ৩০দিন পর্যন্ত কোন অভিযোগ ছাড়াই লোকজনকে গ্রেফতার করতে পারবে বলে একটি মানবাধিকার গ্রুপ জানিয়েছে।
এদিকে অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের উপ-আঞ্চলিক পরিচালক এক বিবৃতিতে আটককৃতদের মুক্তি দাবি করেছেন।

বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন। সাবেক সেনা প্রধান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণ করেন।

এছাড়া বিক্ষোভকারীরা নতুন সংবিধান দাবি করেছে এবং দীর্ঘদিনের নীতি ভেঙে রাজার ক্ষমতা কমানোরও আহ্বান জানিয়েছে।