দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে নির্দেশ শেখ হাসিনার

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যক্তিগত বিদ্বেষ ভুলে দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকের শুরুতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের এ দিক-নির্দেশনা দেন তিনি।

বেসরকারি বার্তা সংস্থা ইউএনবির সাথে আলাপকালে কয়েকজন মনোনয়নপ্রত্যাশী বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে দলকে শক্তিশালী করার জন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন দলের প্রধান।’

চট্টগ্রামের একটি নির্বাচনী এলাকার মনোনয়ন প্রার্থীকে উদ্ধৃত করে ৩০ মিনিটের ভাষণে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটি স্বাভাবিক যে, একটি নির্বাচনী এলাকার জন্য আমাদের শুধু একজনকে বাছাই করতে হবে। তাই আপনাকে দলের মনোনীত প্রার্থীর জন্য কাজ করতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই নির্বাচন দেশের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হবে কারণ দেশের উন্নয়ন এর ওপর নির্ভরশীল। ষড়যন্ত্রকারীরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তাদের পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করবে, সেজন্য আমাদের সকলকে আগামী দিনের জন্য সতর্ক থাকতে হবে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা আওয়ামী লীগের এক মনোনয়ন প্রার্থী বলেন, ‘দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেত্রী আমাদের কাছ থেকে অভিভাবকের মতো প্রতিশ্রুতি আদায় করেছেন।’

শেখ হাসিনা গত দশ বছরে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বিস্তারিত বর্ণনা করেন এবং এসব বার্তা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি নির্দেশ দেন।

এক মনোনয়ন প্রার্থীকে উদ্ধৃত করে দলের সভানেত্রী বলেন, ‘আপনি জনগণের কাছে এসব উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা বিস্তারিতভাবে বলবেন এবং আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট দিতে তাদের অনুরোধ করবেন যাতে আগামীতে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকে।’

বিদ্রোহী প্রার্থীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শাস্তির বিষয়ে সতর্ক করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রার্থীর মনোনয়ন বিষয়ে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গেলে কেউই রক্ষা পাবে না।’

আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন অন্তত ৪,০৩৫ জন মনোনয়ন প্রার্থী।

প্রসঙ্গত, বৈঠকটি ধানমন্ডির আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে ধারণা করা হলেও জায়গার অভাবে সেটি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে স্থানান্তর করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রথম দফা তফসিল ঘোষণার পরদিন শুক্রবার থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ। এই মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমা দেয়ার শেষ সময় রাখা হয়েছিল সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। তবে নির্ধারিত সময়ের পরও বিশেষ বিবেচনায় অনেকের মনোনয়পত্র জমা নেয়া হয়। তথ্যসূত্র-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ